২০ জুন থেকে শুরু কাউন্সেলিং
জয়েন্ট এন্ট্রান্সের মেধা তালিকায় এগিয়ে কলকাতা
বছর জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিয়েছিলেন ১ লক্ষ ১০ হাজারের কিছু বেশি পরীক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে মেধা তালিকায় নাম উঠল ৮৮ হাজার ছাত্রছাত্রীর। শনিবার এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান ভাস্কর গুপ্ত জানান, যাঁরা শূন্যের বেশি নম্বর পেয়েছেন, তাঁদেরই রাখা হয়েছে মেধা তালিকায়। গত বছর অবশ্য সব পরীক্ষার্থীরই র্যাঙ্ক ঘোষণা করে মেধা তালিকা প্রকাশ করেছিল বোর্ড।
এ বারের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হয়েছে শুধুমাত্র ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফার্মাসিতে ভর্তির জন্য। অঙ্ক, পদার্থবিদ্যা ও রসায়ন এই তিন পত্রের পরীক্ষা নিয়েছিল বোর্ড। এ বছর থেকে মেডিক্যালে ভর্তির জন্য দেশ জুড়ে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
শনিবার বোর্ড-চেয়ারম্যান জানান, ১ লক্ষ ১০ হাজার ৫৯৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৭ হাজার ৭৮৬ জনের মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ২০ জুন থেকে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান তিনি। পরীক্ষা হয়েছিল ২১ এপ্রিল।
গত বছর ১ লক্ষ ১৪ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থীর মেধা তালিকা প্রকাশ করা সত্ত্বেও প্রায় ৩১ হাজার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আসন পূরণ করা যায়নি। তিন দফায় কাউন্সেলিংয়ের পরেও হাজার দশেক আসন ফাঁকা থেকে গিয়েছিল। এ বার আসন সংখ্যা বেড়ে হয়েছে প্রায় ৩৪ হাজার। মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ছাত্রছাত্রীর সংখ্যাও কমে গিয়েছে। এ বছরও তাই অনেক আসন ফাঁকা থাকবে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। যদিও বোর্ড বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি।
মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার বিচারে এক নম্বরে আছে কলকাতা। কলকাতার পরীক্ষার্থীদের ৮৬.৬৩ শতাংশ মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।
তার পরেই আছে হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগনা ও বাঁকুড়া। এই সব জেলার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে যথাক্রমে ৮৬.২৮ শতাংশ, ৮৪.৫০ শতাংশ, ৮৩.৮৩ শতাংশ ও ৮৩.৬২ শতাংশ মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে।
পরীক্ষায় সাফল্যের বিচারে এবং মেধা তালিকায় র্যাঙ্ক পাওয়ার নিরিখে ভিন্ রাজ্যের বাসিন্দারা অনেকটাই এগিয়ে আছেন এ বার। বোর্ড জানিয়েছে, অসমের পরীক্ষার্থীদের ৮১.২৪ শতাংশ এবং ত্রিপুরার ৮২.৭৭ শতাংশ মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। আবার মেধা তালিকায় প্রথম স্থানাধিকারী উৎসব নাহা আদতে খড়্গপুরের বাসিন্দা হলেও তিনি হায়দরাবাদে পড়াশোনা করেন। এ ছাড়া, কোটা, বোকারো, নয়াদিল্লি ইত্যাদি স্থানে বসবাসকারী বেশ কয়েক জন পড়ুয়া প্রথম কুড়ি জনের মধ্যে স্থান পেয়েছেন। বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, গত বারের তুলনায় এ বার ভিন্ রাজ্যের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হাজার ছয়েক বেড়েছিল।
তবে প্রথম কুড়ির মেধা তালিকায় একজন ছাত্রীরও ঠাঁই হয়নি। ৩৯ নম্বর র্যাঙ্কে থাকা কলকাতার রচিতা ছাপারিয়া মেয়েদের মধ্যে প্রথম। রচিতাকে নিয়ে প্রথম ১০০ র্যাঙ্কে আছেন মাত্র চার জন ছাত্রী।
ভাস্করবাবু এ দিন বলেন, “ফল দেখে বোঝা যাচ্ছে ভিন্ রাজ্যের ছেলেমেয়েদের এই রাজ্যে পড়াশোনা করতে আসার প্রবণতা বাড়ছে।” র্যাঙ্কের বিচারে মেয়েরা কেন এতটা পিছিয়ে পড়ল, তা নিয়ে অবশ্য কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি বোর্ড-কর্তৃপক্ষ। তবে র্যাঙ্কের নিরিখে কিছুটা পিছিয়ে পড়লেও মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার দিক থেকে মেয়েদের ফল যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক বলেই মনে করছেন অভিজ্ঞ শিক্ষকেরা। যত ছাত্রী পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের ৮০ শতাংশেরও বেশি মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন। বরং ছাত্ররাই এ দিক থেকে সামান্য পিছিয়ে। ৭৯ শতাংশ ছাত্র এ বারের মেধা তালিকায় জায়গা পেয়েছেন।
বোর্ড-চেয়ারম্যান জানান, মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া ছাত্রছাত্রীরা ২০ জুন থেকে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করে আসন পছন্দ করে রাখতে পারবেন। তবে কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া এখনই শুরু হচ্ছে না। তা হবে ১৩ জুলাইয়ের পরে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.