|
|
|
|
জোড়া ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় বনধ দেওঘরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রাঁচি |
দেওঘরের জোড়া ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে ডাকা অনির্দিষ্টকালের বন্ধে অচল হয়ে গিয়েছে দেওঘরের সাধারণ জনজীবন। বনধ তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়েছেন, রাজ্যপাল সৈয়দ আহমেদের অন্যতম উপদেষ্টা কে বিজয়কুমার। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
জসিডি পুলিশ লাইনের বাসিন্দা দুই পুলিশ কর্মীর দুই শিশুকন্যার দেহ গত ২৭ মে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তে জানা যায়, তাদের ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর থেকেই দোষীদের শাস্তির দাবিতে কখনও পথসভা, কখনও মোমবাতি নিয়ে মিছিল করেছেন এলাকার মানুষ। কিন্তু এ পর্যন্ত পুলিশ কাউকেই ওই ঘটনায় গ্রেফতার করতে পারেনি।
প্রশাসনের উপরে চাপ বাড়াতে শুক্রবার সন্ধ্যায় ‘দেওঘর নাগরিক মঞ্চ’-এর তরফ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধের ডাক দেওয়া হয়। সকাল থেকেই রাস্তায় নেমে বনধকারীরা গাড়ি আটকাতে থাকেন। বন্ধ করে দেওয়া হয় দোকান-বাজার, হোটেল। গোড্ডার বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বন্ধের সমর্থনে দেওঘরে মিছিল করেন। নিশিকান্ত বলেন, “দোষীদের গ্রেফতার করে পুলিশ রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্বের প্রমাণ দিক। যতদিন না ওই শিশুদের মৃত্যু রহস্যের সমাধান হবে, ততদিন আমাদের লড়াই জারি থাকবে।” |
|
বনধ সফল করতে দেওঘরের রাস্তায় মোটরবাইক মিছিল। শনিবার অরুণ কেশরীর তোলা ছবি। |
ঝাড়খণ্ডে এখন রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে। তারমধ্যেই দেওঘর ছাড়াও রাজধানী রাঁচি-সহ ঝাড়খণ্ডে মহিলাদের উপর অপরাধের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে বারবারই সমালোচনার মুখে পড়ছে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। এই অবস্থায় রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, কংগ্রেসকে চাপে ফেলতে বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবেই বন্ধে সামিল হয়েছে। পাশাপাশি, আজ বিকেলেই কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী কে এন ঝা’র নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরির কথা ঘোষণা করেছে প্রদেশ কংগ্রেস।
রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সুখদেব ভগত বলেন, “তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিকে দ্রুত দলের কাছে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। আর রাজ্যপালের পরামর্শদাতাকেও বলা হয়েছে দ্রুত ঘটনার তদন্ত শেষ করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিতে।” আজকের বন্ধের জেরে দেওঘর শহরের বাইরেই আটকে পড়ে পড়ে ট্রাক, দুরপাল্লার বাস। বনধ প্রভাব ফেলেছে বাবাধাম মন্দিরেও। সাধারণ মানুষের হয়রানির কথা স্বীকার করলেও বনধ চালিয়ে যাওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন নাগরিক মঞ্চের মহা-সচিব রাকেশ পাঠক। তিনি বলেন, “মানুষই এই বনধ সমর্থন করেছেন। বনধ তুলে নিলে কালই প্রশাসন সব প্রতিশ্রুতি ভুলে যাবে। আবার কোনও দুর্ঘটনা ঘটবে। ফলে প্রশাসনকে চাপে রাখতেই বনধ চলবে।” |
|
|
|
|
|