মালদহ জেলা পরিষদের প্রার্থী হলেন করলেন রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্রের জামাই। তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর জামাই প্রার্থী হওয়ায় দলের অন্দরেও আলোড়ন পড়েছে। মানিকচক থেকে জেলা পরিষদের ২৫ নম্বর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে শুক্রবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তাঁর জামাই সমদীপ সরকার। সাবিত্রী দেবী অবশ্য বলেছেন, “জামাই প্রার্থী হতে চাইছিল না। ও গ্রামের ছেলে। গ্রাম থেকেই দলের লোকেরা ওর নাম পাঠিয়েছিল। সর্বসম্মতভাবে জামাইকেই সবাই প্রার্থী করার জন্য আমার কাছে আবেদন করেছিল। আমি চাইছিলাম না ও প্রার্থী হোক। কারণ জামাইকে দলের প্রার্থী করলে দলের ও বাইরে লোকেরা নানা কথা বলতে পারে। কিন্তু দলের কর্মী-সমর্থকদের দাবিকে মেনে নিয়েই জামাইকে প্রার্থী করতে বাধ্য হয়েছি। ও ঠান্ডা মাথার ছেলে। সবাইকে নিয়ে চলার মানসিকতা ওর আছে।” পেশায় প্রাথমিক শিক্ষক সমদীপ সরকার জানান, চারটি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা তাঁকে জেলা পরিষদে প্রার্থী করার জন্য প্রস্তাব দেন।
মন্ত্রীর জামাইকে প্রার্থী করা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে পর্যটন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু চৌধুরীর মন্তব্যে। তিনি বলেন, “সনিয়া গাঁধীর ছেলে রাহুল গাঁধী ভোটে দাঁড়িয়েছেন। ডালুদার ছেলে ঈশা ভোটে দাঁড়িয়েছে। এটা কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের ট্র্যাডিশন। সেই ট্র্যাডিশন মেনেই জামাইকে প্রার্থী করা হয়েছে। এতে কোন অসুবিধা নেই। আমার স্ত্রী তো কাউন্সিলর হয়েছে। আত্মীয় বলে কি ভোটে দাঁড়ানো যাবে না? কোথায় এটা বলা আছে?” |