ফের একটি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট আত্মহত্যা করলেন। আর একটি সংস্থার এক এজেন্ট আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে দাবি তাঁদের পরিবারের লোকজনের। চলছে ধরপাকড়ও। গ্রেফতার করা হল সারদা গোষ্ঠীর মালদহের এক কর্তাকেও। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে ‘র্যামেল’-এর এক এজেন্টের দেহ মিলেছে শুক্রবার। নাম মৃদুল শীল (২৭)। বাড়ি তুফানগঞ্জ থানার নিউ টাউন এলাকায়। এ দিনই শিলিগুড়ির উপকণ্ঠে মাটিগাড়ায় সারদা-র এক মহিলা এজেন্ট গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন। মৃদুলবাবুর দাদা মৃণাল শীল বলেন, “গত দু’মাস ধরে ভাই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। সেই হতাশা থেকেই গলায় গামছা দিয়ে ও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল বলে মনে হচ্ছে। লিখিত অভিযোগও করা হবে।” সারদা-র ওই মহিলা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। বাড়ি মাটিগাড়ার গভর্নমেন্ট কলোনিতে। তিনিও কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে ঘনিষ্ঠমহলে বারবার বলেছেন।
চাঁচলে প্রতারণার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে সারদা-র মালদহ ডিভিশনের প্রধান কর্তা দেবাশিস দেবশর্মাকে সস্ত্রীক গ্রেফতার করা হয়েছে। সারদা-র চাঁচলের অফিসটিও পুলিশ সিল করে দিয়েছে।
সংস্থার এজেন্টদের দাবি দেবাশিসবাবু গত এপ্রিলে সারদা বিতর্ক শুরু হওয়ার পরে সংস্থার হাতে থাকা প্রায় ৫০ কোটি টাকা মূল্যের জমি স্ত্রী-র নামে করে নেন। গত মঙ্গলবার চাঁচলের খরবা এলাকার এজেন্ট আসরাফুল হক দেবাশিসবাবুর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। দেবাশিসবাবু বলেন, “বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেব বলেই জমির পাওয়ার অব অ্যাটর্নি নেওয়া হয়েছিল। ওই জমি নিরাপদে রাখতেই স্ত্রী-র নামে লেখানো হয়। এখন বুঝতে পারছি, এটা না করলেই ভাল হত।” মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণার মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতদের জেরা করা হচ্ছে।” গত ১ জুন সংস্থার এক নিরাপত্তা কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে দেবাশিসবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু ওই মামলায় আগাম জামিন থাকায় সেদিনই ছাড়া পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। |