ফের আরেকটি মুলতুবি সভা। তৃণমূল কাউন্সিলররা উপস্থিত থাকলেও সভায় যাবেন না কংগ্রেস ও বাম কাউন্সিলররা। ফলে, আরও একবার কোনও উন্নয়ন সংক্রান্ত কাজের সিদ্ধান্ত অনুমোদিত করার প্রক্রিয়া থমকে যাবে। পরিণতিতে পুর পরিষেবা লাটে উঠবে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দাদের অনেকেই। তাই আগামী সপ্তাহ থেকে আন্দোলনে নামতে চলেছে বামেরা। শুক্রবার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের সঙ্গে দেখা করেন বাম কাউন্সিলররা। নিজেদের দাবি জানিয়ে দু’দিনের সময়সীমা দিয়েছেন বামেরা।
পুরসভার বিরোধী দল নেতা নুরুল ইসলাম বলেন, “সরকারের তরফে পুরসভার কাজের ক্ষেত্রে ১৬টি বিষয় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। তাতে কতটা যুক্তি রয়েছে? শুধু মাত্র কংগ্রেসকে চাপে রাখতে ওই কাজ করা হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। বঞ্চিত হচ্ছেন শিলিগুড়ির মানুষ।”
এই পরিস্থিতির জন্য কংগ্রেস ও তৃণমূল উভয় দলকেই দায়ী করেন তিনি। পাশাপাশি ডিসেম্বর মাসের মাসিক অধিবেশনে পাস হওয়া কয়েকটি কাজের তালিকা দিয়ে তার দরপত্র ডাকার দাবি জানান বামেরা। কাউন্সিলর তহবিলের টাকা না-পাওয়ায় দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের সাহায্য করতে পারছেন না তাঁরা। বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও পুরবোর্ডের তরফে কেউ উদ্যোগী হননি বলে অভিযোগ। তাই মেয়রের সঙ্গে দেখা করে তাঁরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, দু’দিনে কাজ না হলে তাঁরা লাগাতার আন্দোলনে যাবেন। পুর কমিশনারের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন নরুলবাবু। তিনি বলেন, “কমিশনার সঠিক ভূমিকা পালন করছেন না। তাঁর এই দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া উচিত।”
অন্য দিকে, বর্ষার শুরুতেই শহরের একাধিক রাস্তাঘাট বেহাল। মূল রাস্তা গুলি কিছুটা চলাচলের যোগ্য হলেও, বাইলেন গুলির অবস্থা চলার অযোগ্য। বর্ষা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার করা হয়নি শহরের হাইড্রেন। এই পরিস্থিতিতে টানা বৃষ্টি হলে জলের তলায় থাকতে হবে শিলিগুড়ির একাধিক এলাকার বাসিন্দাদের। পুরসভার তরফে এখনও কোনও প্রাক বর্ষা প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি। তাই বর্ষা শুরু হলেও পরিস্থিতি কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে তা নিয়ে কোন পরিকল্পনা তৈরি করা হয়নি। যদিও পরিস্থিতি মেনে সব কাজ সঠিক ভাবে করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন মেয়র পারিষদ সুজয় ঘটক। মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত বলেন,“ বিষয়গুলি দেখছি। কী ভাবে সমস্যার দ্রুত সমাধান করা যায়।” |