উচ্চ মাধ্যমিকের মেধাতালিকা বেরোনোর পর উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে এখন খুশির হাওয়া। সম্ভাব্য সপ্তম ও দশম দু’জনেই এই জেলার।
উচ্চমাধ্যমিকে সম্ভাব্য সপ্তম ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় প্রথম স্থান পাওয়া শৌভিক প্রথম শ্রেণি থেকেই থেকে রহড়া মিশনের ছাত্র। ফল জানার পরেই রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের সম্পাদক স্বামী জয়ানন্দ প্রিয় ছাত্রকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। দক্ষিণেশ্বরের শৌভিক রায় যে তাঁর মান রেখেছেন। স্বামী জয়ানন্দ বলেন, ‘‘ভাল ফলের জন্য মেধার দরকার মাত্র এক শতাংশ। কিন্তু অধ্যবসায়ের দরকার নিরানব্বই শতাংশ। এখনকার ছাত্রদের মধ্যে অধ্যবসায়ের খুব অভাব।’’ শৌভিকের কথায়, “ভাল ফলের জন্য মেধা ও অধ্যবসায় দু’টোই প্রয়োজন। পরিবেশেরও অনেকটা ভূমিকা থাকে। আমার স্কুলের শিক্ষকেরা আমাকে সাহায্য না করলে হয় তো এই ফল করতে পারতাম না।” শৌভিকের বাবা শিবপ্রসাদ, মা তাপসীও ছেলের সাফল্যে গর্বিত। শৌভিকের প্রিয় অঙ্ক। উচ্চমাধ্যমিকে অঙ্কে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ১০০। ভবিষ্যতে গণিতবিদ হতে চাওয়া শৌভিক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিউটে ভর্তি হতে চায়। স্কুলের শিক্ষক ছাড়াও তাঁর পাঁচ জন গৃহশিক্ষক ছিলেন।
অন্যদিকে, এ বছর উচ্চমাধ্যমিকের মেধাতালিকায় দশম স্থান পেয়েছে হাবরার প্রফুল্লনগর বিদ্যামন্দিরের অভিজিৎ পাল। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৩। ছেলে মেধাতালিকায় জায়গা পাবে বলে একদমই আশা করেননি মা কনিকাদেবী। তিনি জানালেন, ছোট থেকেই স্কুলে প্রথম অথবা দ্বিতীয় হয়েছে অভিজিৎ। শুধুই পড়াশোনা নয়, সুযোগ পেলেই বন্ধুদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে। গানও শোনে। বিষয় রসায়ন। প্রিয় গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। অভিজিতের কথায়, “দিনে ৬-৭ ঘণ্টা পড়তাম। ৭ জন গৃহশিক্ষক ছিল আমার। তবে এই সাফল্যের পিছনে আমার স্কুলের ভূমিকাও কম নয়। ভবিষ্যতে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে চাই।” |