|
নানা রকম ১... |
|
অপরূপ বন্ধন গান ও পাঠে |
বারীন মজুমদার |
সম্প্রতি জ্ঞানমঞ্চে আদ্যা কলা তীর্থম ও প্রয়াস যৌথ ভাবে যে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করেছিলেন তার শুরুতে ছিল সমাজের বিশিষ্ট কয়েক জন মহিলাকে ‘প্রয়াস’ নারী সম্মান প্রদান। পরবর্তী অধ্যায়ে নিবেদিত হল রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর সমসাময়িক চার কবিকে নিয়ে একটি নৃত্যগীতি আলেখ্য ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি’। পরিকল্পনা ও সমগ্র অনুষ্ঠানের নৃত্য নির্মিতি ছিল তরুণ নৃত্যশিল্পী অভিরূপ সেনগুপ্তের। সাধারণত ছোটদের নৃত্যানুষ্ঠান শুরুতে হয়ে থাকে। এ দিন তার বিপরীত দৃশ্য দেখা গেল। প্রথমে বড়দের অনুষ্ঠান। বিরতির পর খুদেরা মঞ্চ মাতিয়ে দর্শকদের করতালি আদায় করে নিল। |
|
রবীন্দ্রপর্বের গান ও পাঠে অংশ নিলেন শ্রাবণী সেন ও রায়া ভট্টাচার্য। কোনও বিষয়ভিত্তিক ভাবনা না হলেও কেবল মাত্র তাঁদের নিবেদনের মাধ্যমে রায়া ও শ্রাবণী এই অংশটিকেই উজ্জ্বলতম করে রাখলেন। শ্রাবণীর ‘আনন্দধারা বহিছে ভুবনে’র সঙ্গে রায়ার ‘অন্তর মম বিকশিত কর’ পাঠ আবার কখনও শ্রাবণীর ‘শাওন গগনে’র সঙ্গে রায়ার ‘বৃষ্টি পড়ে’ সুন্দর সাঙ্গীতিক পরিমণ্ডল গড়ে তোলে। যা এক কথায় অপূর্ব। |
|
কিন্তু শুরুর এই রেশটা একটু কেটে যায় পরবর্তী চার কবির গানে যার শিল্পী ছিলেন গান ও পাঠে যথাক্রমে ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায় ও সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। ঋদ্ধির কণ্ঠ বা সুর নিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু পরিবেশন ভঙ্গিতে আরও মনোনিবেশ প্রয়োজন। এ দিন চমত্কার গাইলেন দ্বিজেন্দ্রলালের ‘পতিত ধারিণী গঙ্গে’ বা নজরুলের ‘অঞ্জলি লহ মোর’। কিন্তু অতুলপ্রসাদের ‘ওগো আমার নবীন সাথী’ গানটিকে যন্ত্রানুষঙ্গ, সঙ্গে ততোধিক লাস্যময় নাচ (নিমীষা দে সরকার) এক চটুল গানের উদাহরণ হয়ে রইল। যা শিল্পী এড়িয়ে যেতে পারতেন। সুজয় প্রসাদের পাঠ্যাংশ ভাল লাগে তাঁর কণ্ঠের আওয়াজের জন্য। ওড়িশি নৃত্য আঙ্গিকে অভিরূপ সেনগুপ্ত নৃত্য নির্মাণ করেছেন। তিনি ও তাঁর সহশিল্পীরা স্বল্প পরিসরে মঞ্চকে ব্যবহার করেছেন ভাল ভাবেই। |
|