|
|
|
|
|
|
|
নানা রকম ২... |
|
সময়ের হাত ধরে
শিখা বসু |
পৌলমী ভট্টাচার্যের পরিচালনায় ‘ঐকান্তিকা’র অনুষ্ঠান হয়ে গেল বাংলা অ্যাকাডেমি সভাগৃহে। প্রথম অংশে আবৃত্তি বিষয়ক আলোচনা, দ্বিতীয় পর্বে সমবেত আবৃত্তি। অবশ্য পৌলমীর নিজের নিবেদন ছিল একক আবৃত্তি। সুন্দর পাঠভঙ্গি। শুনে বোঝা গেল কবিতা নিয়ে তিনি ভাবনা চিন্তা করেন। নাটকীয়তাও আছে। বিভিন্ন কবির কবিতায় তিনি সপ্রাণ। বর্ষাকেন্দ্রিক বিভিন্ন কবিতার সমবেত কোলাজ অপূর্ব, স্নিগ্ধ। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতার কোলাজ নির্বাচন ভাল। কয়েক জন শিল্পীর উচ্চারণের দিকে আরও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। মজায় মোড়া হাসির কবিতার সংকলন, ছিল ছোট ছোট শিল্পীরা। অনির্বাণ ঘোষের কাব্যনাট্য কাব্যবিভ্রাটের পরে শেষ নিবেদন ছিল নারী। পুরুষকেন্দ্রিক সমাজে নারীর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা, প্রতিবাদ সব নিয়ে পুরনো ও আধুনিক কবিদের কাব্যবিন্যাস।
|
সৃজকের অনবদ্য সৃষ্টি
গোপা বন্দ্যোপাধ্যায় |
|
সৃজকের নৃত্যভাবনা ‘পৃথিবী’ (দি মাদার আর্থ) উপস্থাপনাটি এক কথায় অসাধারণ, অনবদ্য। অভিনবও বলা যায়। সম্প্রতি আই সি সি আর-এর পরিচালনায় হরিজন সিরিজের ‘পৃথিবী’ কবিতা অবলম্বনে নৃত্যনাট্য দর্শকদের ভূয়সী প্রশংসা আদায় করে নেয়। রবীন্দ্রসঙ্গীত ও কবিতার মেলবন্ধনে ও কাহিনির উপস্থাপনে নতুনত্ব এনেছেন রূপা ও গৌতম উপাধ্যায়। উদয়শঙ্করের ঘরানার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সৃজকের এই নৃত্য পরিকল্পনা। নৃত্যনাট্যে সুর করেছেন শুভেন চট্টোপাধ্যায়। রূপা উপাধ্যায়ের অসাধারণ অভিনয় আনন্দ, বেদনা ও রাগ সব কিছু মিলে যায় একটিই প্রশ্নে, কেন এত মৃত্যু? খুব দৃঢ় অভিনয়। নিজের ছেলের মৃতদেহ কোলে নিয়ে ‘চক্ষে আমার তৃষ্ণা’ গানটির ব্যবহার এক অন্য মাত্রা এনে দেয়। অন্যান্য শিল্পীর মধ্যে ছিলেন চন্দ্রাণী, আরাত্রিকা, সহেলী, শ্রীপর্ণা, ছোট দিগন্ত। উত্তীয় জানার আলো প্রশংসনীয়। |
|
|
|
|
|