|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
জলসঙ্কট |
তৃষ্ণা তীব্র
দেবাশিস দাস |
আশঙ্কাই সত্যি হল!
গরম পড়তেই তীব্র জলসঙ্কট দেখা দিল মহেশতলা, বজবজ পুর এলাকা এবং বিষ্ণুপুর গ্রামীণ এলাকায়। সমস্যা এতই তীব্র যে সুরাহার জন্য সংশ্লিষ্ট পুরকর্তৃপক্ষ কলকাতার মেয়রের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বিষ্ণুপুর, পৈলান, দৌলতপুর, আমগাছিয়া, চকরাজুমোল্লা এবং খড়িবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনে তিন বারের জায়গায় এক বার জল আসছে। কখনও এক বারও আসে না। নতুন সংযোগের জন্য আবেদন করেও পাওয়া যাচ্ছে না। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ তরুণ রায় বলেন, “আমরা সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি। নোদাখালির দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ হয়ে গেলে আর এই সমস্যা থাকবে না।” |
|
মহেশতলা পুর এলাকার সরকারপোল, দক্ষিণ ও উত্তর জগতলা, সেপাইপাড়া, দৌলতপুর, চিংড়িপোতা, বটতলা, ব্যানার্জিহাট, বিবেকানন্দ পল্লি-সহ নানা এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি দিন পানীয় জলের জন্য দীর্ঘ লাইন দিতে হয়। অনেক সময় লাইন দিয়েও পানীয় জল পাওয়া যায় না। জলের লাইন নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে বচসাও হয়। এলাকার বসিন্দা সওকত আলির কথায়: ‘‘গরম পড়লেই এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট শুরু হয়। একাধিক বার বিভিন্ন মহলে এই সমস্যার কথা জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।” যদিও মহেশতলা পুরসভার চেয়ারম্যান দুলাল দাস বলেন, “পানীয় জলের সঙ্কট হয়েছিল। কলকাতার মেয়রের কাছে পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সাহায্য চেয়েছিলাম। সাহায্য পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।” |
|
বজবজ পুরসভার নানা এলাকাতেও দীর্ঘ দিন ধরে পানীয় জলের সঙ্কট চলছে। নন্দনপুর, ধর্মতলা রোড, ক্ষুদিরাম বোস রোড, বিএন ঘোষ রোড, হালদারপাড়া, নতুনপল্লি, এমজি ঘোষ রোড, সুভাষ উদ্যান-সহ নানা এলাকার বাসিন্দারা জানান, পানীয় জলের জন্য ভোর থেকে লাইন দিতে হয়। তার পরেও জল পাওয়া যায় না। কলে কখন জল আসবে কেউ জানেন না। অনেক সময় পানীয় জল কিনতে হয়।
বজবজের পুরপ্রধান ফুলু দে বলেন, ‘‘পানীয় জলের সমস্যা নিয়ে কলকাতার মেয়রের সঙ্গে বৈঠক করেছি। কিছু ওভারহেড রিজার্ভার এবং একটি ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরির কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে পরিস্থিতির
উন্নতি হবে।” কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গার্ডেনরিচ থেকে জলের এক অংশ এই সব এলাকায় সরবরাহ করা হচ্ছে। গার্ডেনরিচে নতুন জল প্রকল্পের কাজ চলছে। এই কাজ শেষ হলে জলের যোগান আরও বাড়ানো যাবে বলে আশা করছি।”
|
ছবি: অরুণ লোধ |
|
|
|
|
|