|
|
|
|
|
|
পূর্ব কলকাতা |
ভাড়া বাড়ে |
বারের ফেরে
কাজল গুপ্ত |
শনিবার। মধ্যমগ্রামবাসী সৌমিত্র দাস উল্টোডাঙা থেকে করুণাময়ী যাচ্ছিলেন। অটোয় উঠতেই চালক বললেন, “বিকাশভবন হলে ২০, ময়ূখভবন হলেই ২৫।” কিন্তু অন্য দিনে ভাড়া তো ১২ টাকা? অটোচালকের উত্তর: “ছ’মাস আগের ভাড়ার কথা বলছেন।”
শুধু সৌমিত্রবাবুই নন, শনি ও রবিবার উল্টোডাঙা থেকে সল্টলেকের নানা অটোরুটের অনেকে যাত্রীরই এমন অবস্থা হয়। সোম থেকে শুক্র যে দূরত্বের ভাড়া ১২ থেকে ১৫ টাকা, শনি ও রবিবারে সেই দূরত্বই যেতে খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ টাকা। |
|
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটোচালকের জবাব, “সোম থেকে শুক্র সরকারি অফিস চালু থাকে। অনেক ভাড়া হয়। শনি ও রবিবার শুধু আইটি সেক্টরের লোকেরাই যাতায়াত করেন। তাই ভাড়া না বাড়ালে ক্ষতি।” নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলা বা কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকলেও ভাড়া এক লাফে অনেকটাই বেড়ে যায়।
তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নগুলি অবশ্য এই অভিযোগ পুরোপুরি স্বীকার করতে চায়নি। যদিও সিটুর নেতারা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, অধিকাংশ অটোচালক এবং মালিক এখন তৃণমূল পরিচালিত ইউনিয়নের ছাতার তলায়। তাঁরা ইচ্ছামতো ভাড়া বাড়িয়ে চলেছেন।
সল্টলেকে তৃণমূল অটো ইউনিয়নের নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, “বার বার চালকদের নিষেধ করেছি। ফ্লাইং অটোর ক্ষেত্রেই বেশি অভিযোগ মিলছে।” সিটু নেতা সৌমেন চক্রবর্তী বলেন, “নিজেদের অটো ইউনিয়নগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অপারগ শাসক দল। পরিবহণ দফতর ভাড়া-সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠালেও সে সবে আমলই দিচ্ছে না তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নগুলি।” |
|
পাশাপাশি অটোয় অতিরিক্ত যাত্রীবহনের অভিযোগও রয়েছে। যদিও বিধাননগরের ট্রাফিক দফতরের এক কর্তার দাবি, “নিয়মিত অভিযান চলে। কেসও দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হয়। তবে ভাড়ার বিষয়টি পরিবহণ দফতর দেখে। এ ক্ষেত্রে আমাদের করণীয় কিছু নেই।”
পরিবহণ দফতর নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়েছিল, অটোতে ভাড়ার তালিকা রাখতে হবে। কিন্তু এ সব রুটে তা মানা হয় না বলেও অভিযোগ। পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র বলেন, “আমরা অটোচালকদের নির্দেশিকা মানতে ফের আবেদন জানাচ্ছি। প্রয়োজনে ফের অটো ইউনিয়নগুলির সঙ্গে আলোচনা করব। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায় করা যাবে না। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
|
ছবি: শৌভিক দে |
|
|
|
|
|