|
|
|
|
বিক্ষোভ কারারক্ষী সমিতির
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
শূন্যপদ পূরণ-সহ বেশ কিছু দাবিতে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি করল তৃণমূল প্রভাবিত বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে। পাশাপাশি, জেল সুপারের মাধ্যমে কারামন্ত্রী হায়দার আজিজ সফির কাছে একটি স্মারকলিপিও পাঠানো হয়। নেতৃত্ব দেন সমিতির রাজ্য সম্পাদক নিরুপম খাঁড়া, জোনাল সম্পাদক কার্তিক সাহু প্রমুখ। নিরুপমবাবু বলেন, “কর্মচারীদের দাবি নিয়ে আন্দোলন চলবেই। আমরা গণতান্ত্রিক ভাবেই আন্দোলন করব।”
মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে এক হাজারেরও বেশি বন্দি রয়েছেন। কারও বাড়ি এ জেলাতেই, কারও বা বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায়। রয়েছে মাওবাদী সন্দেহে ধৃতরাও। জেল চত্বরে যে নাশকতা হতে পারে, এক সময় এমন ইঙ্গিতও প্রশাসনকে দিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। |
অবস্থান বিক্ষোভে সমিতি। |
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বছর খানেক আগে সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর তোড়জোড় শুরু হয়। তবে কাজ এগিয়েছে নামমাত্রই। অভিযোগ, কর্মীর সংখ্যা এতটাই কম যে, মাঝেমধ্যেই সমস্যা হয়। ডিউটি ভাগ নিয়ে মনোমালিন্য হয়। আর এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েই একের পর এক অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটে চলেছে জেলের মধ্যে। সংশোধনাগারের মধ্যে সব মিলিয়ে ৫২টি সেল রয়েছে। এক জায়গায় ৩২টি। অন্য একটি জায়গায় ২০টি। যেটি বিশ সেল বলেই পরিচিত। পাশাপাশি, ১৪টি ওয়ার্ড রয়েছে। যেখানে সাধারণত বিচারাধীন বন্দিদের রাখা হয়। ১৪টি ওয়ার্ডের সামনে-পিছনে অন্তত ২৮ জন ওয়ার্ডার থাকার কথা। বলাবাহুল্য তা থাকে না। পরিস্থিতি দেখেই শূন্যপদে কর্মী নিয়োগের জোরালো দাবি তুলেছে বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি। শুক্রবার যে সব দাবির প্রেক্ষিতে অবস্থান-বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে কারারক্ষীদের রেশন ভাতা প্রদান করা, সার্কেল বদলির সিদ্ধান্ত ঠিকা না হলে প্রত্যাহার করা, কর্মচারীদের উন্নতমানের পোশাক সরবরাহ করা প্রভৃতি। সমিতির জোনাল সম্পাদক কার্তিকবাবুর কথায়, “আশা করব, সরকার দাবি খতিয়ে দেখে দ্রুত উপযুক্ত পদক্ষেপ করবে।” |
|
|
|
|
|