মানুষের কোলেপিঠে বেড়ে ওঠা চারটি ভালুককে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হল। ত্রিপুরা ও ইস্ট কামেং জেলা থেকে উদ্ধার হওয়া ওই চারটি এশিয় কালো ভালুক এ বার অরুণাচলের রোয়িং জেলার মেহাও অভয়ারণ্যে নতুন আস্তানা গড়বে। ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার সৌম্য দাশগুপ্ত জানান, জঙ্গলে ভালুকদের গতিপ্রকৃতির উপরে নজর রাখার জন্য তিনটি ভালুকের গলায় রেডিও কলার পরানো হয়েছে। |
পুনর্বাসন কেন্দ্রের জীবন শেষ। জঙ্গলের পথে চার ভালুক শাবক। ডব্লিউটিআইয়ের সৌজন্যে। |
ত্রিপুরা থেকে আসা তিনটি শাববকে প্রথমে কাজিরাঙায় বড় করে, গত বছর মেহাও পাঠানো হয়েছিল। অন্যটিকে অরুণাচলের ভালুক পুনর্বাসন কেন্দ্রেই লালন-পালন করা হয়। সৌম্যবাবু বলেন, “গত কয়েক মাস ধরেই অ্যানিমাল কিপাররা ভালুকগুলিকে নিয়ে জঙ্গলে যেতেন। ওরা নিজেদের মতো থাকা, গাছে রাত কাটানো, বড় পশুর আক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচানো, শিকার ধরা, খাবার সংগ্রহ করা শিখে যায়। ওদের মধ্যে একটি ভালুক ইতিমধ্যে ১১দিনের জন্য হারিয়েও যায়। তারপর সে নিজেই ফিরে আসে। জঙ্গলের জীবনে মোটামুটি খাপ খাইয়ে নেওয়ার পর গত কাল ওদের পুরোপুরি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।” ইফাও ও ডব্লিউটিআইয়ের মুখ্য পশু চিকিত্সক এন ভি কে আশরফ জানান, রেডিও কলার পরাবার পরে সকলেই একদম সুস্থ ছিল। একটি ভালুক জন্ম থেকেই এক চোখে দেখতে পায় না। তবে তাতে বেঁচে থাকতে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এই নিয়ে বিপন্ন প্রজাতির ২৫টি ভালুককে ইফাও পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে জঙ্গলে ছাড়া হল। |