ক্ষমতা বদল হতেই বদলে গেল চিত্রটা। বামফ্রন্টের আমলে যেখানে বিরোধীরা মনোনয়নপত্রই জমা দিতে পারতেন না, হুগলির সেই খানাকুল ১ নম্বর ব্লকে এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা কার্যত নেই। ঘটনাচক্রে মূল বিরোধী এখন বামেরাই।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে এ-পর্যন্ত যে-তথ্য পৌঁছেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, খানাকুল ১ নম্বর ব্লকের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে ২৩৪টি আসনের মধ্যে মাত্র তিনটিতে প্রার্থী দিতে পেরেছেন বিরোধীরা। তার মধ্যে অবশ্য বামফ্রন্টের কোনও প্রার্থী নেই। বিজেপি দু’টি অসনে এবং কংগ্রেস একটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। খানাকুল ১ নম্বর ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯২টি, পঞ্চায়েত সমিতির ৩৯টি এবং জেলা পরিষদের তিনটি আসন রয়েছে।
দুই মেদিনীপুর এবং বর্ধমানেরও বহু আসনে বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারেনি বলে কমিশন সূত্রের খবর। কত আসনে শাসক দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হচ্ছেন, সেই চিত্রটা সোম-মঙ্গলবার নাগাদ চূড়ান্ত হবে। ২০০৩ সালে শাসক দলের ৬৮০০ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ক্ষেত্রে সেটাই এখনও রাজ্যের রেকর্ড। প্রথম পর্বে যে-ন’টি জেলায় ভোট হওয়ার কথা, তার মধ্যে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, পুরুলিয়া জেলায় প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ওই জেলায় পঞ্চায়েতের সব আসনেই শাসক ও বিরোধীরা প্রার্থী দিয়েছেন।
কমিশনের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির সিপিএম প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন সন্ধ্যা দাশ। মনোনয়নপত্র পরীক্ষার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তবে ওই কেন্দ্রে নির্বাচন স্থগিত হবে না। মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পরে চূড়ান্ত প্রার্থী-তালিকা প্রকাশিত হয়। চূড়ান্ত প্রার্থী-তালিকা প্রকাশের আগে কোনও প্রার্থীর মৃত্যু হলে নির্বাচন স্থগিত হয় না।
|