আপনার সাহায্যে...
ভ্যাপসা গরমে মুখে র‌্যাশ উঠতে শুরু করে দিয়েছে। লাল চাকা চাকা দাগ। চুলকোচ্ছে। আর চুলকালেই জায়গাটা ফুলে উঠছে।
গরমের জন্যও যেমন এই ধরনের অ্যালার্জি হতে পারে, তেমনই খাবার থেকেও হতে পারে। তবে লাল চাকা চাকা দাগ বেরিয়েছে দেখলেই যে অমুক ওষুধটা খেয়ে নেব, এটা কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে হবে না। সঙ্গে আর কী সমস্যা আছে সে সব খতিয়ে দেখতে হবে। একই সমস্যার জন্যও ওষুধ বিভিন্ন জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম হতে পারে।


তার মানে ডাক্তার না দেখিয়ে ওষুধ খাওয়া যাবে না?
সে রকমই।

কিন্তু হুটহাট করে তো আর ডাক্তারের কাছে যাওয়া যায় না। বাড়িতেই প্রাথমিক ভাবে কী করব?
যদি দেখেন জায়গাটায় গরম সেঁক দিলে ভাল লাগছে, তবে রাসটক্স খাবেন। আর ঠান্ডা দিলে ভাল লাগলে খেতে হবে এপিসমেল। যা-ই খান, পাওয়ার যেন ৬-এর বেশি না হয়। এক বারে ছ’টা থেকে আটটা গ্লোবিউল খাবেন।

সমস্যা যখন বাড়বে তখনই খাব?
হ্যঁা। হ্যোমিওপ্যাথি ওষুধ সাধারণত সে ভাবেই খেতে হয়। সমস্যার প্রকোপ বেশি হলে আধ ঘণ্টা পর পর ওষুধ খাবেন। কমে এলে দু’ঘণ্টা পর পর খেলেই হবে। আর যদি দেখেন প্রায় কমে এসেছে, তবে বন্ধ করে দেবেন।

হ্যোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ারও তো হাজারটা নিয়ম।
তেমন কিছুই নিয়ম না। খাওয়ার পর মিনিট কুড়ি কিছু না খেলেই হল।

গরম বেশি হোক বা কম, সঙ্গে হাজারো ঝামেলা। একটু রোদ লাগলেই মুখ কালো হয়ে যাচ্ছে। তার জন্য কী করব?
সকালে খালি পেটে সালফার খান। তবে এটা কিন্তু ঘন ঘন খাবেন না। এক বার করে দিন চারেক খেলেই হবে। তার পর বন্ধ করে দেবেন। রাতে সালফার খাবেন না। আর আগে থেকে মুখে মেচেতার দাগ থাকলে কিন্তু অন্য ওষুধ খেতে হবে।

কী সেটা?
চেলিডোনিয়াম। ১০ ফোঁটা করে ১৫ মিলিলিটার জলে মিশিয়ে। এটা দিনে দু’বার খাবেন।
ঘামাচির জন্য কিছু বলুন।
বেলেডোনা খান। দিনে তিন থেকে চার বার। তাতেই কাজ হবে। যদি দেখেন রাতের দিকে বেশি চুলকোচ্ছে, তবে মার্কসসল খেতে হবে। এই ওষুধটাও রাতে খাবেন না।

গরম থেকে ঠান্ডা ঘরে ঢুকলেই নাক দিয়ে জল ঝরতে শুরু করে। কী করব?
অ্যাকোনাইট সঙ্গে রাখবেন। এর সঙ্গে যদি টাকরা বা তালুতে জ্বালা করে তবে কিন্তু ওষুধ বদলে যাবে।

তখন কী খাব?
যদি দেখেন টাকরায় জ্বালা করছে আর গরম কিছু খেলে আরাম বোধ হচ্ছে তবে আর্সেনিক এলবা খাবেন।

এখন তো কনজাংটিভাইটিস শুরু হয়ে গিয়েছে। এর জন্য কী করব?
এমনিতে আর্জেন্টাম-নাইট্রিকাম খেলেই কাজ দেবে। কিন্তু তার সঙ্গে যদি দেখেন চোখ দিয়ে জল ঝরছে তবে খেতে হবে ইউফ্রেসিয়া। চোখের ব্যাপার। খুব বেশি সমস্যা হলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে ওষুধ খাবেন।

অ্যালার্জি থেকে বাচ্চাদের তো হুট করে ঠান্ডা লেগে যায়। জ্বরও চলে আসে।
নাক দিয়ে জল পড়ার পর যদি দেখেন সর্দি বুকে বসে গেছে, তখন ক্যালিমিউর দিলে কাজ হবে। জ্বর যদি বেশি আসে, বাচ্চার মুখ যদি লাল হয়ে যায় তবে বেলেডোনা খাওয়াবেন। তবে সর্দির রংটার ওপরও ওষুধ নির্ভর করবে।


যেমন?
সর্দির রং সাদা হলে ক্যালিবিউর খাওয়াবেন। কিন্তু আর্দ্র আবহাওয়ায় সবুজ রঙের সর্দি হলে দিতে হবে নেট্রামসালফ। আর সর্দি যদি খুব আঠালো মতো হয় তবে দেবেন ক্যালি বাইক্রোম।

কাশি যদি না কমে? কাশতে কাশতে অনেক সময় বমিও এসে যায়।
গরমে বেশি করে তাজা ফল খান। দেখবেন সমস্যা অনেকটাই কমে যাবে। ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই।

তা-ও কিছু ওষুধ বলুন।
কাশি বেশি রকম হলে ইপিকাক কাজ দেবে।

একজিমার প্রকোপও তো এই সময়ে বাড়ে।
এর জন্য নিজে নিজে ওষুধ না খেয়ে ডাক্তার দেখাবেন।

যোগাযোগ- ৮৬৯৭৩২৪৬৪৪


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.