|
|
|
|
বেঙ্গালুরুতে পড়তে গিয়ে বিপাকে বাঙালি পড়ুয়ারা
অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় • কলকাতা |
এজেন্সি মারফত দক্ষিণ ভারতের একটি কলেজে বিএড পড়তে গিয়ে হেনস্থার স্বীকার হলেন কয়েক জন বাঙালি ছাত্রছাত্রী। অভিযোগ, ভর্তি হওয়ার কয়েক মাস পরে ওই পড়ুয়ারা জানতে পারেন আদতে কলেজটির বিএড কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় কোনও অনুমোদনই নেই। তা জানতে পেরে ওই পড়ুয়ারা কলেজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপরেই ওই কলেজের কয়েক জন পড়ুয়াকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমন পরিস্থিতিতে ওই পড়ুয়ারা থানায় অভিযোগ জানাতেও ভয় পাচ্ছেন।
সেন্ট পলস্ এডুকেশন কলেজ নামে বেঙ্গালুরুর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় প্রশান্ত নগরে অবস্থিত। মাস ছয়েক আগে বর্ধমানের ‘সর্বশিক্ষা চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ ও ‘বেঙ্গল সাজেশন সেন্টার’ নামে দু’টি এজেন্সির মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় শতাধিক পড়ুয়া ওই কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন।
পড়ুয়াদের দাবি, ভর্তি হওয়ার পরেই তাঁদের সমস্ত শংসাপত্র নিয়ে নেওয়া হয়। বর্তমান শিক্ষাবর্ষে প্রথম সেমেস্টার শুরু হওয়ার কথা ছিল গত ২৩ মে। কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্রমশ সেই পরীক্ষার দিন পিছিয়ে দিচ্ছিলেন। গত ৫ জুন পরীক্ষার দিন চূড়ান্ত করলেও ফের তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। পরীক্ষা দেওয়া নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ার পরে কিছু পড়ুয়া ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে খোঁজ নেন। তাঁদের দাবি, খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় আগেই কলেজটির এমএড কোর্সের অনুমোদন বাতিল করেছেন। বাতিল হয়েছে বিএড কোর্সের অনুমোদনও।
এরপরেই ওই পড়ুয়াদের অনেকেই কলেজ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁরা কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা থাকা শংসাপত্রগুলি ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদনও করেন। অভিযোগ, বারবার আবেদন করলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই শংসাপত্র ফেরত দিচ্ছেন না। সুভাষ হালদার (বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুর এলাকায়) নামে এক ছাত্র শংসাপত্র ফেরত চাইতে গেলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কলেজের ছাত্রী, কলকাতার গড়িয়ার বাসিন্দা শাহিন নাসরিন ফোনে সন্ত্রস্ত গলায় বললেন, “এজেন্সি বলেছিল, ওই কলেজের বিএড কোর্সটি ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত। সেই কথা শুনে ৪০ হাজার টাকা টিউশন ফি দিয়ে ভর্তি হই। এখন মুশকিলে পড়েছি।” ওই কলেজের আর এক ছাত্র রাহুল ঘোষের অভিযোগ, যে দুই এজেন্সির মাধ্যমে কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন তারা ঘটনার পরে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ‘বেঙ্গল সাজেশন সেন্টার’-এর অধিকর্তা পবন চৌধুরী বলেন, “ওই কলেজের এক শিক্ষকের সঙ্গে কোনও এক পড়ুয়ার কিছু গণ্ডগোল হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ওই কলেজের প্রয়োজনীয় অনুমোদন নেই, কথাটি ঠিক নয়।” ফোনে যোগাযোগ করা হলে কলেজের অধ্যক্ষা রূপা টি এস দাবি করেন, “ওখানে কিছুই ঘটেনি। এরপরেও যদি কিছু জানতে চান, তাহলে ব্যাঙ্গালোর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।” |
|
|
|
|
|