জমি সমস্যায় গত বছরের শেষে হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বামা লরির লগ্নি। আট মাস পরে নতুন কলেবরে সেই লগ্নি প্রস্তাব ফিরে এসেছে। এ বার তড়িঘড়ি সায়ও দিয়েছে রাজ্য। প্রাথমিক লগ্নি প্রস্তাব পাওয়ার পরেই জমি সংক্রান্ত যাবতীয় ছাড়পত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মিলেছে রাজ্যের কাছ থেকে।
এ রাজ্যে লজিস্টিক্স পার্ক তৈরি করতে চায় প্রায় ২৫০০ কোটি টাকার মিনিরত্ন সংস্থা বামা লরি। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ইতিমধ্যেই বাগনানে জমি চিহ্নিত করেছে সংস্থা। তিনি বলেন, “প্রস্তাব পাওয়ার পরেই ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানিয়েছি। জমির ঊর্ধ্বসীমা আইন মেনে প্রথমে ২৪ একরে প্রকল্প তৈরির প্রস্তাব দেয় সংস্থা। তবে কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি পুরো ৫৫ একর জমিতেই প্রকল্প শুরুর অনুমোদন দিচ্ছি আমরা।” তাঁর মতে রাজ্যে এ ধরনের পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানান, উৎপাদন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে লগ্নি টানতে সাহায্য করবে এই পরিকাঠামো। |
প্রসঙ্গত, হিমঘরে চলে গিয়েছিল প্রায় ২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প। ডানকুনিতে লজিস্টিক্স পার্ক তৈরির জমি চিহ্নিত করেও কাজ এগোতে পারেনি রাষ্ট্রায়ত্ত বামা লরি। সংস্থা সূত্রে দাবি, জমি সংক্রান্ত ছাড়পত্র না-পাওয়ায় জমি কেনার কাজ শুরু করা যায়নি। রাজ্যের কাছে দু’টি বিষয়ে ছাড় চেয়েছিল সংস্থা। জমির ঊধ্বর্র্সীমা আইন থেকে অব্যাহতি এবং প্রায় ৪৫ একর কৃষিজমির চরিত্র বদল। মেলেনি প্রয়োজনীয় অনুমোদন। ফলে আটকে যায় প্রকল্প।
গত মাসের শেষে সংস্থার পরিচালন পর্ষদের বৈঠকে এই প্রকল্প হিমঘর থেকে বার করে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই বৈঠক শেষে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর বীরেন সিংহ জানিয়েছিলেন, ১৫০ কোটি টাকায় একটি লজিস্টিক্স পার্ক তৈরি করতে চান তাঁরা। প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ৫৫ একর জমি সরাসরি জমির মালিকদের থেকে কিনবে সংস্থা। এ বাবদ ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন জমি সংক্রান্ত ছাড়পত্রের জন্য শীঘ্রই রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ হবে তাঁর সংস্থা।
এ ধরনের দু’টি পরিকাঠামো গড়ার কথা ২০১২ সালেই ঘোষণা করেছিল সংস্থা। কলকাতা ও বিশাখাপত্তনমে লজিস্টিকস পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় বামা লরি। প্রায় একই অঙ্কের লগ্নিতে ৫০ একর জমির উপর বিশাখাপত্তনমে পার্ক তৈরির কাজ এগোলেও এ রাজ্যে জমি জটে আটকে যায় প্রকল্প। হিমঘর থেকে শুরু করে পণ্য রাখার গুদাম তৈরি ও বণ্টন ব্যবস্থা, সবই থাকছে পরিকল্পিত এই পার্কে। |