আবেদন করার দীর্ঘ দিন পরেও তফসিলি জাতির শংসাপত্র না পেয়ে মনোনয়ন কেন্দ্রে গিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় দুই সিপিএম নেতা- নেত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে রায়গঞ্জের বিডিও অফিসে। দুই সিপিএম নেতার নাম নাম বরুণ দাস ও গৌরী রায়। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী বরুণবাবু রায়গঞ্জে বাহিন পঞ্চায়েতের বালিরপড় সংসদের ও পেশায় মজুর গৌরীদেবী রায়গঞ্জের বরুয়া পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। বরুণবাবু বলেন, “তিন মাস আগে তফশিলি শংসাপত্র পেতে বিডিও অফিসে আবেদন করি। ১২ জুনের আগে শংসাপত্র না পেলে ভোটে দাঁড়ানোই অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।” ব্লক আধিকারিকেরা তাঁদেরকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। মহকুমাশাসক নন্দিনী সরস্বতী বলেন, “আমার সঙ্গে যোগাযোগ করলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
|
লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রেকার, পিক আপ ভ্যান, অ্যাম্বাসাডর ও মিনিবাস। প্রতিটি গাড়ির সামনে, পিছনে ও ছাদে উড়ছে রাজনৈতিক দলের পতাকা। রোজনৈতিক সমাবেশ বা কর্মিসভা নয়, দুপুর থেকে বিকেল রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল চত্বরে দৃশ্য এমনই। হাসপাতাল লাগোয়া বিডিও অফিসে ব্লকের ১৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও একটি পঞ্চায়েত সমিতির শতাধিক আসনে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। হাসপাতাল সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি এদিন বলেন, “বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানাব।” প্রশাসন জানিয়েছে, নানা দলকে হাসপাতালে গাড়ি না রেখে লাগোয়া স্টেডিয়াম চত্বরে গাড়ি রাখতে বলা হচ্ছে।
|
প্রথম দিনেই জলপাইগুড়ি জেলায় জমা পড়া মনোনয়নের সংখ্যা দুশো ছাড়িয়ে গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে গত বুধবার জেলায় ২০১টি মনোনয়ন পত্র জমা পড়েছে। প্রথম দিনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল। দলের তরফে জেলায় মোট ৭২টি মনোয়নন জমা দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস ৫৮, সিপিএম ২৪, বিজেপি ৯,আরএসপি ৩, ফরওয়ার্ড ব্লক ১ এবং নির্দল ও অনান্যদের তরফে ৩৪টি মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে। জেলার ১৬টি জেলা পরিষদ আসনেও বুধবার মনোনয়ন জমা দেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
|
কোথাও কোথাও মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। কোথাও আবার পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার লাইন বেড়েই চলছে। কোথাও বা লঙ্ঘিত হচ্ছে নির্বাচন বিধি নিষেধ। সব তথ্যই এসএমএসে পৌঁছে যাবে জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করতে গ্রুপ এসএমএস ব্যবস্থা চালু করেছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক থেকে শুরু করে বিডিও সকলেরই মোবাইল নম্বর এই ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে।
|
নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ জানাতে থানা বিডিও অফিস মহকুমা শাসকের দফতরের পাশাপাশি জেলাশাসকের দফতরে সেল খুলেছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। ফোনে অথবা ডাক মারফত অভিযোগ জানানো যাবে। সেলে নথিভুক্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা শাসক জানিয়েছেন। অভিযোগ সেলের নম্বর ০৩৫৮২ ২২৭১১৭।
|
কোচবিহারের ১২টি ব্লকে ১১ জন পর্যবেক্ষক নজরদারির দায়িত্বে। তুফানগঞ্জ ১ ও ২ এক পর্যবেক্ষকের আওতাতেই রাখা হয়েছে। ১০টি ব্লকে থাকছেন ১০ পযর্বেক্ষক। পর্যবেক্ষকরা সকলেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। |