কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন কংগ্রেসের মুরারই ১ পঞ্চায়েত সমিতির সদ্য প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপকুমার ভকত। কংগ্রেসের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতিতে দাঁড়ানোর টিকিট না পেয়েই প্রদীপবাবু দল ছেড়েছেন। ওই প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা দল ছাড়ার কারণ হিসেবে কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে থাকার নালিশ এবং স্থানীয় নেতৃত্বের নানা সিদ্ধান্তকেই দায়ী করেছেন। বুধবার দল ছাড়ার খবরটি প্রদীপবাবু লিফলেট বিলি করে প্রচারও করেছেন।
প্রদীপবাবু বলেন, “দলের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান পাইনি। স্থানীয় নেতৃত্বের কার্যকলাপে আমি বীতশ্রদ্ধ। পঞ্চায়েত সমিতির মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়ার জন্য দল ছাড়তে পারিনি। এ বার সুযোগ পেলাম।” এলাকায় বাবলু ভকত নামে পরিচিত কংগ্রেসের এই নেতা একদা রাজগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন। পরে জেলাপরিষদের বিরোধী দলনেতা তথা অধ্যক্ষও হয়েছিলেন। প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্যও ছিলেন।
জেলা কংগ্রেস সূত্রে খবর, এ বার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির পদটি সংরক্ষিত (তফশিলি) হয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, দলের নিষেধ সত্ত্বেও তিনি পঞ্চায়েত সমিতিতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছিলেন। মুরারই ১ ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতিতে বাবলুবাবুর প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আঞ্চলিক নেতৃত্ব তা চাননি। তবে আমরা বাবলুবাবুকে জেলাপরিষদে টিকিট দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি রাজি হননি।” দলেরই একটি সূত্রের মত, রাজগ্রামেরই আর এক কংগ্রেস নেতা আলি খানের সঙ্গে বাবলুবাবুর বিরোধ রয়েছে। তাই জেলাপরিষদে প্রার্থী হলে দলের সব মহল থেকে তিনি সাহায্য পেতেন না। তাই হারের আশঙ্কা থেকেই বাবলুবাবু জেলাপরিষদে দাঁড়াতে চাননি বলেই তাঁদের দাবি। এই সুযোগে বাবলুবাবুকে তৃণমূলের হয়ে জেলাপরিষদে লড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। আব্দুর রহমান বলেন, “এতে কংগ্রেসের বিশেষ ক্ষতি হবে না। তাঁকে ছাড়াই ওই এলাকায় আমরা ভাল ফল করব।” অন্য দিকে, তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান আশিস বন্দোপাধ্যায় বলেন, “বাবলুবাবু দক্ষ সংগঠক। কংগ্রেস এ বার অস্তিত্বহীন হয়ে পড়বে।” |