সিরিয়ার যুদ্ধে ব্যবহার হয়েছে রাসায়নিক অস্ত্র এই তথ্য প্রকাশ্যে আসায় শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের দাবি, সিরিয়ার যুদ্ধে বেশ কয়েক বার মারণ গ্যাস সারিন (নার্ভ গ্যাস) ব্যবহার করা হয়েছে। যুদ্ধে আহত অনেকের দেহ প্যারিসে পরীক্ষা করে তা জানা গিয়েছে। এমন অস্ত্র ব্যবহার আন্তর্জাতিক নীতি-বিরোধী। সারিন গ্যাসের প্রভাবে সিরিয়ায় মারা গিয়েছে শিশুরাও। এই গ্যাস বর্ণ-গন্ধহীন। ব্যবহার করা হলেও চট করে তাই বোঝার উপায় নেই। মানুষ বুঝতেই পারে না সারিন শরীরে ঢুকেছে। কিন্তু শরীরে ঢোকার কয়েক মিনিটে নাক দিয়ে জল পড়ে, চোখ কুঁচকে যায়, হাঁপ ধরে। |
কুসেইর শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে মৃতদেহ। ছবি: এএফপি। |
এই গ্যাস সরাসরি বিকল করে দেয় স্নায়ুতন্ত্রকেই। পরিণতি মৃত্যু। ফরাসি বিদেশ মন্ত্রকের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই ভয়ঙ্কর মৃত্যু বিশ্বের কোনও দেশই মেনে নেবে না। এর মধ্যে বুধবারই বিদ্রোহীদের কাছ থেকে সীমান্ত শহর কুসেইর ছিনিয়ে নিল সিরিয়ার আসাদ সরকার। এই অভিযানে জঙ্গি গোষ্ঠী হিজবুল্লার সাহায্য পেয়েছে আসাদের বাহিনী। গত তিন সপ্তাহ ধরে চলছিল শহর দখলের লড়াই। সরকারি টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়েছে, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছিড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে দেহ। কুসেইর শহরটা গত দু’বছর দখলে রেখেছিলেন বিদ্রোহীরা। এই শহর হারিয়ে অনেকটাই ক্ষতি হল তাদের। কারণ লেবানন থেকে সিরিয়ায় জিনিস পাচারে এই সীমান্ত শহর ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
|