শ্বাসনালি কেটে মালদহ আদালতের এক মুহুরিকে খুনের ঘটনায় মালদহে শহরে উত্তেজনা ছড়ায়। মঙ্গলবার সকালে ইংরেজবাজার থানার মালদহের স্থানীয় বিমানবন্দরের মাঠ থেকে পুলিশ ওই ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে নিহতের নাম বিজয় বসাক (৩৭)। তাঁর বাড়ি শহরের সুলতানপুরে। নিহতের দিদি মঞ্জু বসাকের অভিযোগ, “ভাই কালকে রাতে ইংরেজবাজার থানায় কাজে গিয়েছিল। থানা থেকে বার হতেই দুষ্কৃতীরা ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে।”
জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।” পুলিশ সুপার জানান, থানার সামনে থেকে ওই মুহুরিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি। এমন কী, মৃত মুহুরির পরিবারের তরফে লিখিতভাবে এমন কোনও অভিযোগ করা হয়নি। আমাদের ধারণা, পরিচিত কারও সঙ্গে বিজয়বাবু বিমানবন্দর এলাকায় গিয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে খুন করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজয়বাবু মালদহ আদালতে মুহুরির পাশাপাশি জমির ব্যবসা করতেন। গত ১৪ এপ্রিল অমৃতি থেকে কাজ করে মালদহ শহরে বাড়ি ফেরার পথে ৯-১০ জন দুষ্কৃতী তাঁর উপর হামলা করে। মারাত্মক জখম হওয়ায় কলকাতায় নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। কিছুদিন আগে তিনি সুস্থ হয়ে ফিরে এসে অমৃতি এলাকার ৯ জন দুষ্কৃতীর নামে তিনি ২৪ মে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে অভিযুক্ত এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। অভিযুক্তরা কেন গ্রেফতার হচ্ছে না তা জানতে তিনি সহকর্মী দীপক মণ্ডলকে নিয়ে বাইকে ইংরেজবাজার থানায় গিয়েছিলেন। রাত সাড়ে ১০টা অবধি তিনি থানাতেই ছিলেন।
দীপকবাবু বলেন, “আমাকে নিয়ে বিজয়দা মালদহ আদালতের এক আইনজীবির কাছে গিয়েছিলেন। রাত নয়টায় সেখান থেকে থানায় যাই। বিজয়দা থানার ভিতরে ছিলেন। আমি বাইরেই ছিলাম। সাড়ে দশটায় লাগোয়া একটি হোটেলে খেয়ে এসে দেখি বিজয়দা থানায় নেই। ওঁর বাড়িতে টেলিফোন করে জানতে পারি, বাড়িও যাইনি। তার পরে ফিরে আসি। সকালে খুনের ঘটনাটি জানতে পারি।” পুলিশ পুলিশ তদন্ত নেমে মৃতদেহটি থেকে প্রায় ৩০ মিটার দূরে একটি রক্তাক্ত হাঁসুয়া উদ্ধার করেছে। পুলিশের অনুমান, ওই হাঁসুয়া দিয়েই বিজয়বাবুকে খুন করা হয়েছে। |