উচ্চমাধ্যমিকে রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরকে টেক্কা দিল অক্রুরমণি করোনেশন ইনস্টিটিউশন। বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে ৭৬ পরীক্ষার্থীর ৭১ জন প্রথম বিভাগে পাশ করেছে। দু’জন ফেল করে। সেখানে অক্রুরমণি করোনেশন ১৬৫ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৬৫ জনই পাশ করেছে। যার মধ্যে ১৪০ জন প্রথম বিভাগে। ৬৭ জন স্টার নম্বর এবং ৮০ শতাংশের উপরে নম্বর পেয়েছে ৩৪ জন ছাত্র।
এ বারের উচ্চ মাধ্যমিকে স্কুলের ফল খারাপের পিছনে খাতা সঠিকভাবে মূল্যায়ন না হওয়াকেই দায়ী করেছেন মালদহ রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পরাশরানন্দ। তিনি বলেন, “স্কুলের যে ছেলেটি প্রথম হয়েছে সে পদার্থবিদ্যা, অঙ্ক, রসায়ন, জীবন বিজ্ঞান, পরিবেশ বিদ্যা ৯০ থেকে ৯৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু বাংলা ও ইংরেজিতে ৮০ থেকে ৮৪ পেয়েছে। আমাদের স্কুলের খাতা সঠিক ভাবে মূল্যায়ন করা হয়নি। ঠিকঠাক হলে প্রত্যেকটি ছাত্রেরই ১৫ থেকে ২০ নম্বর বাড়ত।”
|
২০১০ পরীক্ষার্থী-১৮৫, পাশ-১৮৫, প্রথম বিভাগ-১৩৫
২০১১ পরীক্ষার্থী-১৬৮, পাশ-১৬৮, প্রথম বিভাগ-১২৫
২০১২ পরীক্ষার্থী-১৬০, পাশ-১৬০, প্রথম বিভাগ-১৩৩
২০১৩ পরীক্ষার্থী-১৬৫, পাশ-১৬৫, প্রথম বিভাগ-১৪০ |
রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষের সঙ্গে সহমত অক্রুরমণি করোনেশনের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল ঝা। তিনি বলেন, “বাংলা ও ইংরেজিতে গড় নম্বর দেওয়া হয়েছে। এতে ভালও ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সাধারণ ছাত্ররা লাভবান হয়েছেন।”
বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির মাধ্যমিকে ভাল ফলে ধারাবাহিকতা বজায় রাখল। এ রকম ভাবে অক্রুরমণি করোনেশনের পড়ুয়ারা উচ্চ মাধ্যমিকে ভালও ফলের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “উচ্চ মাধ্যমিকে বেশির ভাগ স্কুলেই ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস বিমুখ। সেখানে আমাদের স্কুলের বেশিরভাগ ছাত্রই নিয়মিত ক্লাসে আসে। শিক্ষকেরা ক্লাস করান ও পড়া ধরেন। গত ৩-৪ বছরে উচ্চমাধ্যমিকে স্কুলের কোনও ছাত্রও ফেল করেনি। ২০১২ সালে উচ্চমাধ্যমিকে স্কুলের দেবায়ন দাস, শুভাশিস মন্ডল জেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছিল।” |