নেতাজি বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্রী জয়ললিতা রায়ের বাবা বছর তিনেক আগে মারা গিয়েছেন। সেই থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে কাজ করে সংসারের হার ধরেন মা কণিকাদেবী। কষ্ট করে মেয়ে এবং ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। এ বছর উচ্চ মাধ্যমিকে জয়ললিতা পেয়েছেন ৪৬১। নেতাজি গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী বিউটি দাসের বাবা, মা কেউই নেই। মা মারা গিয়েছিলেন অনেক আগেই। বাবা পেশায় বাস কন্ডাক্টর অরুণবাবু মারা যান গত বছর। বিধাননগরে নিজেদের বাড়িতে বাবার দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান হওয়ায় বিউটিকে সেখানে থাকতে দিতে চাননি সৎ মা। দূর সম্পর্কের এক মাসির কাছেই শেষ পর্যন্ত আশ্রয় মেলে। তাঁর কাছে থেকে কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়ে এ বার উচ্চ মাধ্যমিকে ৩৬৮ নম্বর পেয়েছেন তিনি। মেসো পেশায় অটোচালক তপন দাস এর পর বিউটিকে পড়ানোর জন্য যথাসাধ্য সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। সেটাই তাঁর বড় ভরসা। ইচ্ছে আইন নিয়ে পড়ার।
নেতাজি গার্লস হাই স্কুলের গরিব পরিবারের ছাত্রী ইতি সাহাও জয়ললিতা, বিউটিদের মতো কষ্ট করে পড়াশোনা চালিয়ে ভাল ফল করেছেন। বিউটি পান ৩১২। প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে তাদের ওই সাফল্য দেখে গর্বিত শিক্ষক, শিক্ষিকারাও। ইতির বাবা গোপাল সাহা খাম তৈরি করে বাজারে ঘুরে বিক্রি করেন। তাতে সংসার চালানোই দায়। বাড়িতে মা, দিদি, ভাই মিলে পাঁচ জনের সংসার সামলাতে হয় বাবাকেই। তার মধ্যেও ইতির ভাল রেজাল্ট দেখে আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। নেতাজি বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্রী জয়ললিতা রায়ের বাবা মারা গিয়েছেন ৩ বছর আগে। তারপর থেকে সংসারের জোয়াল মায়ের কাঁধেই। ছেলে কলেজে পড়ে। সংসার সামলে মেয়েকে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়িয়েছেনও কণিকাদেবী। সে জন্য বেশিরভাগ সময়ই বেশি রোজগারের আশায় তাকে ঘুরতে হত। ইতির ইচ্ছে বাংলায় অনার্স নিয়ে পড়ার। শিক্ষকতা করতে চান তিনি। |