আলিপুরদুয়ার পুরসভার দু’জন সিপিএম কাউন্সিলর কংগ্রেসে যোগ দিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে কংগ্রেসের দলীয় দফতরে পুরসভার ৪ ও ১৬ ওয়ার্ডের দুই সিপিএম কাউন্সিলর কংগ্রেসে যোগ দেন। গত পুরভোটে শহরের ২০টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ৮টি আসন পায়। পরে বিজেপি, তৃণমূল এবং এক নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে বোর্ড গঠন করে কংগ্রেস। উল্লেখ্য, জুলাই মাসেই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। পঞ্চায়েত ভোটের প্রক্রিয়া শেষ হলেই আলিপুরদুয়ার পুরসভার ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
এ দিন দুপুরে আলিপুরদুয়ারের কংগ্রেস বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় দলত্যাগী সিপিএম কাউন্সিলরদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। পরে সাংবাদিক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বরঞ্জন সরকার জানান, পুরসভার ৪ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামল ভৌমিক, ১৬ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কল্যানী ভৌমিক ছাড়াও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিআই নেতা মহাদেব সাহা, মহকুমায় মহিলা সমবায় ঋনদান সমিতির সংগঠক তথা সিপিএম নেতা তমোনাশ দে সরকার কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। পাশাপাশি, তৃণমূল কংগ্রেসে চলে যাওয়া প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক ভীস্ম ভীষ্ম চট্টোপাধ্যায় দলে ফিরেছেন
বিধায়ক দেবপ্রসাদ রায় জানান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শ্যামলবাবু আগে কংগ্রেস করতেন। কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য সিপিএমের টিকিটে দাঁড়িয়ে জেতেন। তাঁর স্ত্রী কল্যানীদেবী। এ দিন যাঁরা যোগ দিয়েছেন, তাঁদের জন্য কংগ্রেস এলাকায় আরও শক্তিশালী হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান তথা শহর কংগ্রেস কমিটির সভাপতি দীপ্ত চট্টোপাধ্যায় জানান, বাম ও তৃণমূলের আরও নেতাকর্মী কংগ্রেসে যোগ দিতে চাইছেন। আলোচনা করছি। শীঘ্রই কংগ্রেসে যোগ দেবেন।
দলত্যাগী কাউন্সিলর শ্যামলবাবু বলেন, “সিপিএমে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতের মিল হচ্ছিল না। স্ত্রী’র ও একই সমস্যা হচ্ছিল না। তাই সস্ত্রীক কংগ্রেসে ফিরে এলাম। সিপিএমের পাঁচ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২ জন আমরা দল ছাড়ায় দলত্যাগ আইন কার্যকরী হবে না।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রবীন দাশগুপ্ত বলেন, “বিষয়টি শুনিনি। ওঁরা যদি দল ছেড়ে থাকেন, তাহলে দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করলেন।” |