অর্থলগ্নি সংস্থার দৌরাত্ম্য ঠেকাতে এক মাস আগে নতুন ‘চিট ফান্ড বিল’ পাশ করায় রাজ্য। তার পরে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন বিদেশ থেকে ফেরা মাত্র দিল্লি বিমানবন্দরে তাঁকে দিয়ে বিলে সই করিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে জমা দিয়েছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। ঠিক এক মাসের মাথায় ফের দিল্লি এসে বিলে দ্রুত ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের কাছে তদ্বির করলেন তিনি।
সারদা-কাণ্ডের ধাক্কায় আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষায় নতুন ‘চিট ফান্ড বিল’ এনেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। ৩০ এপ্রিল বিধানসভায় বিলটি পাশ হয়েছে। এর আগে বামফ্রন্ট সরকার এই ধরনের একটি বিল বিধানসভায় পাশ করালেও তা কেন্দ্রের অনুমোদন পায়নি। অমিতবাবুর অভিযোগ, বামেরা বিলটি নিয়ে কেন্দ্রের কাছে সে ভাবে তদ্বিরই করেনি। সারদা-কাণ্ডের ধাক্কায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার নিজেদের বিলে রাষ্ট্রপতির দ্রুত অনুমোদন করিয়ে তাই দেখাতে চাইছে, বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার দৌরাত্ম্য কুখতে কতটা আগ্রহী তৃণমূল। বুধবার অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিনিধিত্ব করবেন অমিত মিত্র। তার আগে আজ বিকেলে নর্থ ব্লকে গিয়ে চিদম্বরমের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে অমিতবাবু জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে বিলটি অর্থ মন্ত্রক, কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক ও আইন মন্ত্রকে যাবে। অর্থ মন্ত্রকের তিনটি বিভাগ ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিলটি খতিয়ে দেখে নিজেদের মত জানিয়েছে। অর্থ মন্ত্রক এ বার তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে পাঠিয়ে দেবে। কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকও মত জানিয়েছে, দাবি অমিতবাবুর। চিদম্বরম জানান, অমিতবাবুর সামনেই তিনি স্বরাষ্ট্রসচিবকে ফোন করে বিলটির খোঁজখবর নেন। অনেক দফতরই তাদের মতামত জানিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “শীঘ্রই সব দফতরের মতামত নিয়ে বিলটি রাজ্যের কাছে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
বস্তুত দিল্লি আসার আগেই ২৫ মে চিদম্বরমকে এ নিয়ে চিঠি লিখেছিলেন অমিতবাবু। তিনি জানান, সম্মেলন না থাকলেও দিল্লি আসতেন। কারণ এই বিলটির সঙ্গে বহু মানুষের স্বার্থ জড়িত। আজ বৈঠকের পরে তাঁর আশা, বিলে কেন্দ্রের ছাড়পত্র পেতে অসুবিধা হবে না। তার পরেই তা রাষ্ট্রপতির সইয়ের জন্য পাঠানো হবে।
|