বহরমপুর জেলের এক বিচারাধীন বন্দির দেহ বহরমপুর সদর হাসপাতালে ফেলে রেখে আসার অভিযোগ উঠল জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ঝন্টু সাহা (৪০) নামে ওই বন্দি। দুই জেল কর্মী তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে জানান। তখনই জেলকর্মীরা দেহটি হাসপাতাল চত্বরে ফেলে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়না-তদন্তের জন্য দেহটি বহরমপুর থানায় পাঠায়। কিন্তু মৃতের সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য না থাকায় পুলিশ দেহটি হাসপাতালে ফেরত পাঠায়।
যোগযোগ করা হয় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। তখনই টনক নড়ে জেল-কর্তাদের। ওই বন্দি সম্বন্ধে তথ্য দেওয়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তত ক্ষণে অবশ্য পেরিয়ে পাক্কা সাড়ে ৪ ঘন্টা। ফলে এ দিন হয়নি ময়না-তদন্ত। আইসি মোহায়মেনুল হক বলেন, “ওই বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু হয়েছে বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তথ্য দেয়। কিন্তু দেরি হওয়ায় এ দিন ময়না-তদন্ত হয়নি।”
জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝন্টু সাহা বহরমপুরের বিষ্ণুপুর কালীবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। বেআইনি অস্ত্র রাখার অভিযোগে গত ১৩ মে থেকে তিনি জেল হেফাজতে ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার অশোক পাইক বলেন, “পঞ্চায়েতের নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে এ দিন ব্লক অফিসে ছিলাম। ফলে আমার কাছে প্রথমে তথ্য ছিল না। পরে বিষয়টি জানতে পারি।” |