|
|
|
|
ভাবনা দুই মেদিনীপুরে |
পরিকাঠামো ছাড়াই চালু উচ্চ মাধ্যমিক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
চলতি শিক্ষাবর্ষে দুই মেদিনীপুরের ৪১টি স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে এই সংক্রান্ত নির্দেশ দুই জেলায় এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুল ১৭টি, পূর্বের ২৪টি। তবে সব স্কুলে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নেই। ইতিমধ্যে মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ হয়েছে। ফলে, কী করে একাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, ২০১৩-’১৪ শিক্ষাবর্ষে রাজ্যের ১৫টি জেলার ১২২টি স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “জেলার বেশ কিছু স্কুল থেকে আবেদন গিয়েছিল। আপাতত ১৭টি স্কুলকে উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত করা হয়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই সব স্কুলে পঠনপাঠন শুরু হবে।” কিন্তু সব স্কুলে কী প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো রয়েছে? ক্লাসঘর, শিক্ষকের অভাবে তো পঠনপাঠন ব্যাহত হবে? জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের জবাব, “কিছু সমস্যা রয়েছে। তা সমাধানে পদক্ষেপও করা হবে।”
রাজ্যে পালাবদলের পর পশ্চিম মেদিনীপুরের শুধু জঙ্গলমহলের ১১৭টি স্কুলকে উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করা হয়। স্বভাবতই স্থানীয় ছেলেমেয়েরা উপকৃত হয়েছে। তাদের আর দূরের স্কুলে যেতে হচ্ছে না। অধিকাংশ স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগও চালু হয়েছে। ফলে, বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার চাহিদাও বাড়ছে। তবে কলা বিভাগে পড়ার প্রবণতাই বেশি। জঙ্গলমহলের এলাকার এক শিক্ষকের কথায়, “আগে অনেকে গ্রামের কাছাকাছি স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়তে পারত না। গত দু’বছরে জঙ্গলমহলের প্রায় প্রতিটি স্কুলই উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়েছে।”
শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, এ বার পশ্চিম মেদিনীপুরের যে ১৭টি স্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে পড়ানোর অনুমতি মিলেছে, তার মধ্যে রয়েছে গোহালডাঙা হাইস্কুল, কুলবনি হাইস্কুল, গোটগেড়িয়া শিবশক্তি হাইস্কুল, রুইনান হাইস্কুল, ঘাটাল গুরুদাস হাইস্কুল, ঝেঁতলা শশীভূষণ হাইস্কুল। পূর্ব মেদিনীপুরের যে ২৪টি স্কুল উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়েছে, তার মধ্যে আছে দেউলিয়া বালিকা বিদ্যামন্দির, ফুলেশ্বর হাইস্কুল, তেতুলবাড়ি যতীন্দ্রনারায়ণ বিদ্যামন্দির, বাজকুল বলাইচন্দ্র বিদ্যাপীঠ, চকনান মিলনী বালিকা বিদ্যাপীঠ, রামপুর বিবেকানন্দ মিশন বিদ্যামন্দির। ঝেঁতলা শশীভূষণ হাইস্কুলটি কেশপুরের। স্কুলটি উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত করার দাবি দীর্ঘদিনের। প্রধান শিক্ষক নারায়ণপ্রসাদ চৌধুরী বলেন, “আমরা সকলে খুশি। এর ফলে এলাকার ছেলেমেয়েদেরই সুবিধে হবে।”
এই স্কুলের ফলাফলও চোখে পড়ার মতো। কেমন? এ বার ঝেঁতলা শশীভূষণ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক দিয়েছিল ৯৩ জন। সকলেই উত্তীর্ণ হয়েছে। অর্থাত্, পাশের হারে একশোয় একশো। সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে মৌমিতা সেন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬১১। স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলছিলেন, “আমরা বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগ দু’টোই চালু করতে চাই। বিষয়টি শিক্ষা দফতরকেও জানিয়েছি। আশা করি, আবেদন মঞ্জুর হবে।” |
|
|
|
|
|