দাসেরবাঁধ মামলা ফের পিছোলো |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফের পিছিয়ে গেল দাসেরবাঁধ কঙ্কাল মামলার চার্জগঠন। মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে ১৯ জুলাই। মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে ওই মামলায় চার্জগঠন হওয়ার কথা থাকলেও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর আবেদনে বিচারপতি তা
পিছিয়ে দেন।
মঙ্গলবার শুনানির জন্য মেদিনীপুর আদালতে নির্দিষ্ট সময়েই চলে আসেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা গড়বেতার বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ-সহ জামিনে মুক্ত ১৮ জন। জেলবন্দি ২ জনকেও আদালতে নিয়ে আসা হয়। শুনানির শুরুতে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী চার্জগঠন না করার আর্জি জানান। তাঁর বক্তব্য, এই মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সুশান্ত ঘোষ। গত ২৩ এপ্রিল সেই মামলার শুনানি শেষ হলেও রায় এখনও বেরোয়নি। আগামী ২৪ জুন হাইকোর্টে মামলার পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে। রায় প্রকাশিত হওয়ার পরই মেদিনীপুর আদালতে মামলা এগোক। সরকারপক্ষের আইনজীবী অবশ্য জানান, হাইকোর্টের রায়ের আগে মেদিনীপুরে মামলা না এগোনোর কোনও নির্দেশ নেই। তাই এ দিনই চার্জগঠন হোক। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক অভিজিত্ সোম মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেন। ওই দিনই চার্জগঠন হতে পারে। |
|
আদালতে সুশান্ত। —নিজস্ব চিত্র। |
রাজ্যে পালাবদলের পর সুশান্তবাবুর আদি বাড়ি বেনাচাপড়ার অদূরে দাসেরবাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে হাড়গোড় মেলে। অভিযোগ, ২০০২ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ৭ জন তৃণমূল কর্মীকে খুন করে সিপিএমের সশস্ত্র বাহিনী। ২ জনের মৃতদেহ পাওয়া যায়। প্রমাণ লোপাট করতে বাকি ৫ জনের দেহ মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়। ওই ঘটনায় ২০১১ সালের ৫ জুন গড়বেতার বিধায়ক সহ মোট ৪০ জনের নামে পুলিশের কাছে অভিযোগ জমা পড়ে। পুলিশ প্রথমে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও পরে তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে। ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিআইডি।
চার্জশিটে সব মিলিয়ে ৫৮ জনের নাম রয়েছে। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত সুশান্তবাবু-সহ ২২ জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। এঁদের মধ্যে ১৮ জন জামিনে মুক্ত। জেলে রয়েছেন ২ জন। এই মামলায় আরও যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে অর্ণব ঘোষ ঘটনার সময় নাবালক ছিলেন। তাঁর বিচার চলছে জুভেনাইল কোর্টে। অন্য অভিযুক্ত কিরীটি রায় মারা গিয়েছেন। এ দিকে, মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালতে এসে এক প্রশ্নের উত্তরে সুশান্তবাবুর বক্তব্য, “আইনজীবীরা এখন গড়বেতায় না যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। তাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য গড়বেতায় যাচ্ছি না। আমি গেলেই তৃণমূলের লোকজন অশান্তি তৈরি করবে। মিথ্যে অভিযোগ করবে। সে ক্ষেত্রে মামলার ক্ষতি
হতে পারে।” |
পুরনো খবর: দাসেরবাঁধ-কাণ্ডে ফের পিছিয়ে গেল চার্জগঠন |
|