|
|
|
|
কংগ্রেস নেতা ধৃত, উত্তেজনা কাঁথিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তৃণমূলের মামুদ হোসেনের বিরুদ্ধে এ বার পঞ্চায়েত ভোটে লড়ার কথা পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা কংগ্রেস নেতা উত্তম বারিকের। কিন্তু মনোনয়ননপত্র জমা দেওয়ার আগে সোমবার রাতেই কাঁথি শহর থেকে উত্তমবাবুকে একটি পুরনো মামলায় গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, আজ, বুধবার উত্তমবাবু যাতে নির্বিঘ্নে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন, পুলিশকে তা নিশ্চিত করতে হবে। শুধু তাই নয়, সেই রিপোর্ট আদালতে জমাও দিতে বলেছেন কাঁথির এসিজেএম কৃষ্ণাঞ্জনা রায়। যা শুনে কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পণ্ডার প্রতিক্রিয়া, “আদালতের নির্দেশের ফলে উত্তমের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়াটা অন্তত আর কেউ আটকাতে পারবে না।” |
উত্তম বারিক |
মামুদ হোসেন |
|
মঙ্গলবার ভোর থেকেই কংগ্রেস অবশ্য বিক্ষোভ শুরু করে দেয়। দিনভর কাঁথি থানায় বিক্ষোভ দেখায় তারা। বিভিন্ন জায়গায় পথ অবরোধও করা হয়। কিন্তু জামিন অযোগ্য ধারা থাকায় উত্তমবাবুকে ছাড়া যাবে না বলে পুলিশ জানিয়ে দিলে উত্তেজনা আরও বাড়ে। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূল প্রার্থীদের একটি মিছিল কাঁথি থানার সামনে এলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। দু’পক্ষেরই বেশ কয়েকটি মোটরবাইক ভাঙচুর হয়। থানার আশপাশের দোকানপাট আতঙ্কে বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠি চালায়।
কংগ্রেস দাবি করতে থাকে, জেলা তৃণমূল সম্পাদক ‘মামুদ হোসেনের পথ নিষ্কণ্টক করতে’ দক্ষ সংগঠক উত্তমবাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসিত পালের অভিযোগ, “মামুদ হোসেন যাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে পারেন, তার জন্য শাসকদল চক্রান্ত করেছে। তাতে সামিল হয়েই পুলিশ পুরনো মামলার ঘটনায় গ্রেফতার করেছে জনপ্রিয় এই নেতাকে।”
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে মামুদ হোসেন বলেন, ‘‘কাউকে আটকাতে দলের কোনও চক্রান্তের দরকার নেই। উত্তমবাবুকে পুলিশ আইন মেনে গ্রেফতার করেছে। এর সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই।” উত্তমবাবুকে মঙ্গলবার কাঁথির এসিজেএম আদালতে তোলা হলে ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। |
|
|
|
|
|