পেনকে হারানোর সন্ধ্যাতেই এ বারের দলবদলে ইস্টবেঙ্গলের তরফে সবচেয়ে চমকটা এল। মহমেডান তাঁবুতে বসে পেনের সাংবাদিক সম্মেলনের পর তিন ঘণ্টাও কাটল না, মোহনবাগানের বিছানো জাল কেটে পুণে এফসি-র জেমস মোগাকে তুলে নিল লাল-হলুদ শিবির।
দক্ষিণ সুদানের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলদাতা মোগা এ মরসুমে চিডির পাশে খেলায় দলের আক্রমণের ধার আরও বাড়বে বলেই বিশ্বাস ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। পরিষ্কার অঙ্ক, ভূমিপুত্রদের বদলে দুই বিদেশি স্ট্রাইকার এবং তাঁদের পিছনে মাঝমাঠে জাপানি সুয়োকাকে রেখেই নতুন মরসুমে ট্রফির শিকারে ঝাঁপাতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল।
অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার এ দিন যেমন বলছিলেন, “আক্রমণকে জোরদার করতে ছ’মাস ধরে মোগার পিছনে লেগেছিলাম আমরা। কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। সভ্য-সমর্থকরাও দাবি তুলেছিলেন মোগার জন্য। শেষ পর্যন্ত এক বছরের চুক্তিতে আমাদের বাজেটের মধ্যেই মোগা আজ ইস্টবেঙ্গলে সই করেছে। আশা করি চিডি-মোগা জুটি আক্রমণকে আরও ক্ষুরধার করবে।”
|
গত মরসুমে পুণে এফসি-তে ২৪ ম্যাচে ১৬ গোল করেছিলেন মোগা। কিন্তু এ বার দেড় কোটি টাকা চাওয়ায় তাঁকে রাখতে চায়নি পুণে। দলবদলে কলকাতার তিন প্রধানই ঝাঁপিয়েছিল মোগার পিছনে। মাঝপথে মহমেডান পিছিয়ে পড়ায় লড়াইটা কার্যত ছিল মোহন-ইস্টে। শেষ ল্যাপে টেক্কা দিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারাই। মোগা আপাতত দেশের হয়ে খেলার জন্য দক্ষিণ সুদানে। সেখান থেকেই এ দিন ই-মেলে লাল-হলুদের চুক্তিপত্রে সই করে পাঠান। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বলছেন, “অনেকেই মোগার পিছনে ছুটেছিল। কিন্তু ও নিজে চেয়েছে ইস্টবেঙ্গলে খেলতে। কারণটা অবশ্যই এএফসি কাপ।”
মোগার আগমনে সদস্য-কর্তা-সমর্থকরা খুশি হলেও আশঙ্কার চোরাস্রোতও রয়েছে। লাল-হলুদ রক্ষণের প্রধান সৈনিক ওপারা যেমন মোগার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে এ দিনই বললেন, “আমাদের টিমের আক্রমণ শক্তিশালী হয়েছে, কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু চিডি-মোগা-সুয়োকার কেউই রক্ষণাত্মক ফুটবলার নয়। ফলে ডিফেন্সের উপর চাপ পড়বে। মাঝমাঠে সুয়োকাকেই বেশি লোড নিতে হবে। না হলে কিন্তু সমস্যা!”
|