আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিনটি ফরম্যাটে খেলার স্বপ্ন তিন মাসেই সফল ভুবনেশ্বর কুমারের। দু’টি টি-টোয়েন্টি, আটটি ওয়ান-ডে আর চারটি টেস্ট খেলা হয়ে গিয়েছে এর মধ্যেই। সেই একই দক্ষতায় বিলেতের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যালেঞ্জ সামলানোই এখন সবথেকে বড় লক্ষ্য উত্তরপ্রদেশের সুইং বোলারের। ইংল্যান্ড উড়ে যাওয়ার আগে ভুবনেশ্বর বিশেষ সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ওখানে বিশাল চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। যে পরিবেশে আমি খেলে অভ্যস্ত তার থেকে একেবারে আলাদা পরিবেশ। অনেকে যদিও বলছেন ইংল্যান্ডে আরও ভাল সুইং করানো যাবে। তবুও কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। প্রস্তুতি ম্যাচে যত বেশি সম্ভব বল করে ছন্দ পেতে চাই।’’
শুধু পেসার হিসেবেই নয়, ভুবনেশ্বর ব্যাটেও দেশকে কিছু দিতে চান। চেন্নাইয়ে অভিষেক টেস্টেই তো অধিনায়ক ধোনির সঙ্গে বড় রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভুবনেশ্বরের ব্যাটিং গড় প্রায় ৩১। নিজে অবশ্য সতর্ক মন্তব্য করছেন, “এখনই আমাকে অলরাউন্ডার বলবেন না। তবে একজন টেলএন্ডার বা বোলারের তো শুধু বল হাতেই অবদান রাখলে চলবে না। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটাই ধরন।” |
আইপিএলে বোলারদের ত্রাস ক্রিস গেইলের বিরুদ্ধেও তাঁকে বেশ সফল দেখিয়েছে। রহস্যটা কী? ভুবনেশ্বরের জবাব, “পুণে ওয়ারিয়র্সে অ্যালান ডোনাল্ডের কাছে প্রচুর শিখেছি। সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার। উনি বলেছেন আমার বোলিংয়ে যেটা সবথেকে বড় শক্তি সেই সুইংয়ে জোর দিতে। টি-টোয়েন্টিতে আবার বলের পেসটারও নিয়মিত পরিবর্তন করতে হয়। এই কারণেই গেইলের বিরুদ্ধে আমি ভাল বল করতে পেরেছি।”
তবে ভুবনেশ্বরের কাছে সবথেকে কঠিন ব্যাটসম্যান যথারীতি সচিন তেন্ডুলকরই। কিন্তু মাস্টার ব্লাস্টারের বিরুদ্ধেই পাঁচ বছর আগে রঞ্জিতে একটা রেকর্ড আছে ভুবনেশ্বরের। মুম্বইয়ের হয়ে নামা সচিনকে প্রথম বলেই আউট করার। যে কৃতিত্ব ঘরোয়া ক্রিকেটে তাঁরই প্রথম। সেই প্রসঙ্গে ভুবনেশ্বর বললেন, “সে দিন সচিনকে বল করার আগে চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। তবে সচিনের নজরেও পড়তে চেয়েছিলাম। তাই আমার সেরা অস্ত্র সুইংই প্রয়োগ করেছিলাম বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানের বিরুদ্ধে। সৌভাগ্যবশত সচিন আউট হয়ে যায় সেই বলে। এটাই আমার পাওয়া সেরা উইকেট।” |