চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে তিনিই সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার। ইংল্যান্ডের পিচে সুইং আর বাউন্সের তাঁর বোলিংকে সাহায্য করার সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। তবু ভারতীয় পেস আক্রমণের ‘নেতা’ হিসেবে নিজেকে দেখতে নারাজ ইশান্ত শর্মা।
দিনকয়েক আগেই মহম্মদ সামির সঙ্গে ইশান্তের তুলনা করেছেন পাক পেস কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম। দুই পেসারের কেরিয়ারের তুলনা টেনে আক্রম বলেছেন, ইশান্ত-সামির শুরুটা ভাল হলেও দু’জনের কেউই ভাগ্যের সাহায্য পাননি। দু’জনকেই তাড়া করে বেড়িয়েছে চোট-সমস্যার পাশাপাশি আত্মবিশ্বাসের অভাব।
সদ্যসমাপ্ত আইপিএল সিক্সেও সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি সানরাইজার্স হায়দরাবাদের পেসার ইশান্ত। তাঁর সামনে নিজেকে প্রমাণ করার সেরা সুযোগ তাই ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। “এখানকার উইকেট আমার জন্য একেবারে আদর্শ। তবে ব্যাটসম্যান আর বোলার, দু’পক্ষের জন্যই বেশ বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে,” ইংল্যান্ড পৌঁছনোর পর দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে বলেছেন ইশান্ত। |
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে খুব ভাল বল করতে পারেননি ইশান্ত। এজবাস্টনের স্লো, ব্যাটসম্যান-সহায়ক ট্র্যাকে ছ’ওভারে দেন ৪১ রান। ইশান্ত বলেছেন, “আমরা পেসাররা কত রান দিয়েছি সেটা দিয়ে আমাদের বিচার করা ঠিক হবে না। মনে করে দেখুন, পেসাররা বারবার ব্যাটের কানা মিস করছিল। এটা থেকেই পরিষ্কার যে, বলগুলো ঠিক জায়গায় পিচ করেছি।”
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দ্বিতীয় বার এই নামছেন ইশান্ত। দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০০৯-এর টুর্নামেন্টে অবশ্য তাঁর সঙ্গে ছিলেন আশিস নেহরা, আরপি সিংহ এবং প্রবীণ কুমাররা। সে বার দুটো ম্যাচে তিন উইকেট পান। এ বার আরও ভাল করতে মুখিয়ে রয়েছেন তিনি। “আমার উপর যে দায়িত্ব আছে সেটা খুব ভালই জানি। কিন্তু ভারতীয় পেস আক্রমণের নেতা আমিই, সেটা বলতে পারব না। এটা দলগত দায়িত্ব। কারণ দলে বাকি পেসাররাও আছে, যাদের ভাল করতে হবে। আর একটা জিনিস দেখুন, আমাদের সবার বয়সই প্রায় কাছাকাছি। ভুবনেশ্বর কুমার বা বিনয় কুমারের চেয়ে অভিজ্ঞতায় হয়তো আমি কিছুটা এগিয়ে।”
ইশান্তের সামনে লক্ষ্য একটাই— ইংল্যান্ডের পিচে আগুন ঝরানো। “এ বার ব্যাপারটা অনেকটাই মানসিক। পিচ দেখে যতই লোভ হোক না কেন, বেশি পরীক্ষানিরীক্ষা করতে গেলে সেটা আত্মহত্যার সমান হয়ে যেতে পারে। ঠিকঠাক জায়গায় বল করতে পারলে আপনাআপনি উইকেট আসবে,” বলে রাখছেন ইশান্ত। |