|
|
|
|
অখিলেশকে ফের মুলায়মি ধমক, কংগ্রেস বলল ফিক্সিং |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত জনগণের সমর্থন ধরে রাখতে ফের ছেলের বিরুদ্ধে সরব হলেন মুলায়ম সিংহ যাদব। প্রকাশ্য মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদবকে পাশে বসিয়ে ফের চলল বাবার শাসনপর্ব। কংগ্রেসের মতে, এটা পুরোপুরি বাপ-ছেলের ম্যাচ ফিক্সিং। দিল্লির মসনদে বসার স্বপ্নপূরণে মুলায়মি কৌশল।
বছরখানেক হল মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসেছেন অখিলেশ যাদব। কিন্তু এর মধ্যেই দুর্নীতি, অপশাসন, নেতা-মন্ত্রীদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে আমজনতার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটতে শুরু করেছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিরোধীরা যাতে সেই প্রতিষ্ঠান-বিরোধিতার ফায়দা না তুলতে পারে, তার জন্য আগেও অখিলেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি মুলায়ম। আজ ফের দলীয় সম্মেলনের মঞ্চে ছেলেকে শাসন করতে দেখা গেল তাঁকে।
সমাজবাদী পার্টির নেতারা আসন্ন লোকসভা ভোটের পর মুলায়মকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চান। উত্তরপ্রদেশে লোকসভা আসন ৮০টি। দল মনে করে, এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসনে জিততে পারলে মুলায়ম প্রধানমন্ত্রী পদের অন্যতম দাবিদার হয়ে উঠবেন। বিধানসভা নির্বাচনে মায়াবতীকে পর্যুদস্ত করার পর এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল মুলায়মের দল। কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছে, রাজ্যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে অখিলেশের ব্যর্থতা প্রকট হয়ে উঠছে। বাড়ছে মায়াবতীর আক্রমণও। এক বছরের মধ্যে রাজ্যে অন্তত এক ডজনের বেশি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা, সমাজবাদী নেতাদের জুলুম, প্রশাসনের নির্লিপ্ততা দেখে ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষের মোহভঙ্গ হয়েছে বলে দাবি বিএসপি-র।
এই দাবি যে অমূলক নয়, তা স্বীকার করে নেওয়ার কৌশলেই আজ আমজনতার ক্ষোভের তীব্রতা কমানোর চেষ্টা চালান মুলায়ম। অখিলেশকে পাশে রেখে বাবা নয়, মুলায়ম অবতীর্ণ হন দলের সভাপতির ভূমিকায়। বলেন, “ওর জায়গায় আমি মুখ্যমন্ত্রী হলে ১৫ দিনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক করে দিতাম। জেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব থাকেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। তাঁরা ঠিক ভাবে কাজ না করলে তাঁদেরও জেলে যাওয়া উচিত।” মুলায়মের এই ভূমিকাকে কটাক্ষ করে কংগ্রেস মুখপাত্র রেণুকা চৌধুরির কটাক্ষ, “আগেও মুলায়ম একাধিক বার সমালোচনায় সরব হয়েছেন। কিন্তু পরিস্থিতি বদলায়নি। বাবা-ছেলের ম্যাচ ফিক্সিং বুঝতে পারছেন মানুষ।” |
|
|
|
|
|