|
|
|
|
অভিযুক্ত বাবা-মা |
প্রেমে আপত্তি, পাঁচ বছর ঘরে বন্দি মেয়ে |
সংবাদসংস্থা • বেঙ্গালুরু |
নিজেরই মেয়েকে প্রায় পাঁচ বছর ধরে ঘরবন্দি করে রাখার অভিযোগ উঠল বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছে আজই। পুলিশ জানিয়েছে, বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা বছর পঁয়ত্রিশের ওই যুবতীর নাম হেমাবতী। সোমবার সারা রাত ধরে পরিত্রাহি চিৎকার করেন ওই মহিলা। তা শুনতে পেয়েই আজ পুলিশে যোগাযোগ করেন আশপাশের বাসিন্দারা। মঙ্গলবার পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করেছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্স-এ চিকিৎসা চলছে তাঁর। |
|
এ ভাবেই পাঁচ বছর ঘরবন্দি ছিলেন হেমাবতী। ছবি: পিটিআই। |
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, প্রায় পাঁচ বছর ধরে একটা ছোট্ট ঘরে মেয়েকে আটকে রেখেছিলেন তাঁর বাবা-মা। হেমাবতীকে তাই বহু দিন বাড়ির বাইরে বেরোতে দেখেননি পড়শিরা। মঙ্গলবার তাঁরা হেমাবতীর ঘরে গিয়ে দেখেন, মাটিতে কুঁকড়ে শুয়ে ওই যুবতী। গায়ে যথেষ্ট জামা-কাপড়ও নেই। দীর্ঘদিনের অযত্নে হাত-পায়ের নখ বেড়ে গিয়েছে বীভৎস ভাবে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এক যুবকের সঙ্গে হেমাবতীর সম্পর্ক ছিল। বাবা-মা তা মেনে নিতে না পেরে মেয়েকে বন্দি করে রাখেন। মেয়ে পালিয়ে যেতে পারে এই আশঙ্কায় হেমাবতীকে যথেষ্ট জামা-কাপড়ও দিতেন না তাঁরা।
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুবতীর পরিবার। হেমাবতীর বাবা রেণুকাপ্পা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে তাঁর মেয়ের হাত-পা অসাড় হয়ে যায়। একা একা চলাফেরা করার ক্ষমতা ছিল না। নিয়মিত ওষুধও খেতে চাইত না সে। হেমাবতীর ভাই সোমশেখরের দাবি, কোনও ভাবেই তাঁকে ঘরবন্দি করে রাখা হয়নি।
ওই যুবতীকে আজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও তাঁর আতঙ্ক কাটেনি এখনও। তাই এ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি পুলিশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ইউ টি খাদের আজ হাসপাতালে দেখতে যান হেমাবতীকে। পরে সাংবাদিকদের খাদের জানান, যুবতীকে সুস্থ করে তোলাই আপাতত তাঁদের লক্ষ্য। তবে ঠিক কী হয়েছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। |
|
|
|
|
|