|
|
|
|
নাগাল্যান্ডমুখী রাস্তায় অবরোধ শুরু অসমে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে পুরোপুরি অবরোধ শুরু হল অসমের তিন জেলায়। গত কাল যোরহাট জেলার নাগিনীজানে, নাগাল্যান্ডের দিক থেকে চালানো গুলিতে এক চা-শ্রমিক মারা যান। রাতে ফের নাগাল্যান্ডের দিক থেকে গুলি চলার খবরে উত্তেজনা ছড়ায়। আন্তঃরাজ্য সীমার দু’পারেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ গত কালই নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। আজ গগৈ বলেন, “সীমানায় যারা গুলি চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নাগাল্যান্ড সরকার।”
কিন্তু ক্ষিপ্ত চা-জনজাতি ছাত্র সংস্থা, আটসা সরকারি ভরসার তোয়াক্কা না করে আজ থেকেই যোরহাট, গোলাঘাট ও শিবসাগর হয়ে যাওয়া নাগাল্যান্ডের সব পথে অবরোধ শুরু করেছে। মরিয়ানি-মককচং রোড, হাওলাটিং, সোনারি, রাঙাজানে নাগাল্যান্ডমুখী কিংবা সে দিক থেকে কোনও পণ্য বা যাত্রীবাহী গাড়ি চলতে দেওয়া হচ্ছে না। অবশ্য, মককচং জেলার সীমানায় থাকা সারিংগিয়াম গ্রামের কর্তারা এ দিনও দাবি করেন, অসমের চা-শ্রমিকরা নাগা গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাবার পরেই তাঁরা বাধ্য হয়ে জবাব দেন।
মককচং-এর জেলাশাসক মুরুহো চোস্ত জানান, পুলিশ ওই গ্রামে তদন্ত চালিয়ে দোষী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে তিনিও বলেন, “নাগিনীজান চা বাগান মককচং-এর সারিংগিয়াম গ্রামেরই অংশ। অসমের তরফে বারবার নাগাদের জমি দখলের চেষ্টা হচ্ছে। তার ফলেই পরের পর ঘটনা ঘটছে।” চা বাগান কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, ১৯১৫ সাল থেকেই বাগানটি সারিংগিয়াম গ্রাম পঞ্চায়েতকে কর দিয়ে আসছে। এ বছর বর্ধিত কর দাবি করায় এখনও টাকা দেওয়া হয়নি। এই পরিস্থিতিতে, কে দখলদার, কারা ওই জমি ও বাগানের আসল মালিক তা নিয়ে সরকার, পুলিশ বা প্রশাসন কেউই নিশ্চিত হতে পারছে না। এ দিকে, নাগাল্যান্ড সরকার টিজিট থেকে পেরেন জেলা অবধি পাহাড় কেটে নতুন একটি রাস্তা তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অসমের উপরে নাগাল্যান্ডকে যাতে নির্ভর করতে না হয়। |
|
|
|
|
|