নদিয়া, জলপাইগুড়ির পর কোচবিহারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় নতুন মুখ আনল বামফ্রন্ট। সোমবার কোচবিহার জেলা সিপিএম দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার ৭৫ শতাংশের বেশি আসনে নতুন মুখ আনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফ্রন্ট সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৩ শতাংশ আসন মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ছিল। এবারে তা বেড়ে ৫০ শতাংশ। ১৭ শতাংশ আসনে নতুন মুখ আসছেই। এছাড়াও এলাকায় গ্রহণযোগ্যতা, অপেক্ষাকৃত কমবয়স, শিক্ষাগত যোগ্যতার মত মাপকাঠিতে বাকিদের নাম চূড়ান্ত হয়েছে। যাঁদের এ বার টিকিট দেওয়া হবে না, তাঁদের নামে দাম্ভিকতা, জনসংযোগে খামতি দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় দলীয় স্তরেই আপত্তি উঠেছিল। অসুস্থতা, বয়সজনিত সমস্যা ও আসন সংরক্ষণে অনেকে বাদ যাচ্ছেন। এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দেওয়া হয়, জেলা পরিষদের ৩৩টি আসনের মধ্যে সিপিএম ২১টি ও ফরওয়ার্ড ব্লক ১২ টিতে প্রার্থী দিচ্ছে। ১২টি পঞ্চায়েত সমিতির ৩৬৬টি আসনের মধ্যে একা সিপিএম লড়বে ২৪১টি আসনে। ফরওয়ার্ড ব্লক ১২২ টিতে ও সিপিআই ৩টিতে প্রার্থী দেবে। ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৬৬টি আসনের মধ্যে সিপিএম ১২৯০টি, ফরওয়ার্ড ব্লক ৭০০টি, সিপিআই ১৫ এবং আরএসপি ৯টি আসনে লড়বে।
|
গরুর মালিকানা নিয়ে বিবাদে খুনের অভিযোগে ৯ প্রতিবেশীর যাবজ্জীবন কারাদন্ড হল। সোমবার বালুরঘাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম ওই নির্দেশ দেন। সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, জিতু রায়, অমূল্য রায়, সুশীল রায়, উকিল রায়, নট রায়, অনুপ রায়, নির্মল রায়, অরুণ রায় ও সুবল রায়। সরকারি আইনজীবী উদয় ঘোষ দস্তিদার বলেন, “তপনের কুড়াহারের বাসিন্দা জিতু রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তাঁর স্ত্রী সুমিতা রায় রঞ্জিত রায় নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বসবাস শুরু করেন। বিচ্ছেদ না হলেও সালিশির মাধ্যমে রঞ্জিত রায়কে দ্বিতীয় স্বামী হিসাবে মেনে সুমিতা সংসার করতে থাকেন।” গত ২০১০ সালের ৮ মে সকালে একটি গরুর মালিকানা নিয়ে জিতু রায় ও রঞ্জিত রায়ের বিবাদ হয়। মারধরে গুরুতর জখম রঞ্জিত ১৫ মে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে মারা যান।
|
পুলিশ লাইনে নাবালিকাকে ধর্ষণের পরে খুনের দায়ে হোটেলকর্মী সঞ্জয় পাহানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আদালত। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুরে জেলা ও দায়রা বিচারক মণিশঙ্কর দ্বিবেদী এ নির্দেশ দেন। ৪ সেপ্টেম্বর শহরের কালাচাঁদ কলোনির বাসিন্দা ওই ছাত্রী নিখোঁজ হয়। পর দিন বাড়ি থেকে ১ কিমি দূরে পুলিশ লাইনের আমবাগানে তার রক্তাক্ত দেহ মেলে। তদন্তে পুলিশ লাইন লাগোয়া একটি হোটেলের কর্মী সঞ্জয়কে গ্রেফতার করা হয়। সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি হওয়ায় নিহতের বাড়ির লোক খুশি। সরকারি আইনজীবী সুভাষ চাকী বলেন, “অভিযুক্তের নামে নাবালিকা ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। ৩০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।” আসামী পক্ষের আইনজীবী জানান, রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
|
উচ্চ মাধ্যমিকে সম্ভাব্য প্রথম চোপড়া দাসপাড়া বাসিন্দা ইসলামপুর বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী সোনি দাস। প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৫। বাংলা ৭৮, ইংরেজি ৯১, রসায়ন ৯২, অঙ্ক ৯৭, জীব বিদ্যা ৯৭ ও পদার্থবিজ্ঞান ৮৮। বাবা প্রণববাবু ব্যবসায়ী। মা তৃপ্তীদেবী আইসিডিএস এর কর্মী। দিদি বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বর্ষের ছাত্রী। পড়াশুনোর জন্য মায়ের সঙ্গেই ইসলামপুর শহরে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন সোনি। মা তৃপ্তীদেবী বলেন, “পড়ার জন্য মেয়েকে কিছু বলতে হত না।” প্রণববাবু বলেন, “ওর স্বপ্ন চিকিৎসক হওয়ার। এ বার জয়েন্ট এনট্রান্স পরীক্ষাও দিয়েছে।”
|
২০০৩ সালে উচ্চমাধ্যমিকে জেলায় প্রথম হয় দাদা রাজদীপ মজুমদার। ১০ বছর বাদে চাঁচল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে জেলায় সম্ভাব্য প্রথম হল ইন্দ্রিলা। চাঁচল সিদ্ধেশ্বরী স্কুল থেকে এ বছর বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ইন্দ্রিলা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৫৪। তার সাফল্যে খুশির আবহ এলাকায়। বাংলা-৯০, ইংরেজি-৮৬, অঙ্ক-৯৭, রসায়ন-৮৪, ভৌত বিজ্ঞান-৭৭ এবং জীবন বিজ্ঞান-৯৯। ভবিষ্যতে তাঁর চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে। ইন্দ্রিলার মা মনিকাদেবী চাঁচল আরডি গার্লস স্কুলে অঙ্ক শিক্ষিকা। বাবা ইন্দ্রনারায়ণ চাঁচল-১ পঞ্চায়েতের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ। |