|
|
|
|
ভাল ফলের ধারা বজায় করোনেশনে
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
মেধা তালিকায় জায়গা করতে না পারলেও উচ্চ মাধ্যমিকে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রাখল রায়গঞ্জ করোনেশন হাই স্কুল। এ বছর ওই স্কুল থেকে ২৬০ জন পরীক্ষা দেন। সকলেই পাশ করেছেন। সর্বোচ্চ নম্বর ৪৪৫ পান বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী বিনীতা ঘোষ।
গত কয়েক বছরের মধ্যে এই প্রথম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মেধা তালিকায় জায়গা পেলেন না করোনেশনের পড়ুয়ারা। তবে বিষয়টিতে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মেধা তালিকায় জায়গাটা পঠনপাঠনের মানের মাপকাঠি নয়। শিক্ষকরা সামগ্রিক ফলাফল ভাল করানোর লক্ষ্য নিয়েই সারা বছর ধরে পড়ুয়াদের বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত করে ক্লাস করান।” পাশাপাশি, শুভেন্দুবাবুর যুক্তি, “উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়ারা জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষার প্রস্তুতিতেই বেশি মনোযোগী হন। মেধা তালিকায় তাঁদের পিছিয়ে পড়ার এটাও অন্যতম কারণ।” |
রায়গঞ্জের করোনেশন স্কুলের কৃতীরা। সোমবারের নিজস্ব চিত্র। |
২০১০ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সন্দীপ মুন্সি রাজ্যের মধ্যে ২০ তম, ২০১১ সালে বিজ্ঞান বিভাগেরই দুই ছাত্র সৌরিক দাস ও প্রীতম ভট্টাচার্য রাজ্যের মধ্যে যথাক্রমে ১৪ ও ১৯ তম স্থান দখল করেন। ২০১২ সালে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র পল্লব সিংহ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে দশম স্থান দখল করেছিলেন।
কলা, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান বিভাগ মিলিয়ে স্কুলের ২৬০ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে এ বছর ৮০ থেকে ৮৯ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছেন ৪০ জন পড়ুয়া। ১০২ জন পড়ুয়া ৭০ থেকে ৭৯ শতাংশের মধ্যে ও ৭১ জন পড়ুয়া ৬০ থেকে ৬৯ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছেন। এ ছাড়াও ৪০ জন পড়ুয়া ৫০ থেকে ৫৯ শতাংশের মধ্যে ও ৭ জন পড়ুয়া ৪০ থেকে ৪৯ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছেন।
স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক রায়গঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষ পঞ্চম থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সমস্ত ক্লাসের প্রতিটি পড়ুয়ার সমস্যা চিহ্নিত করে যত্ন নিয়ে ক্লাস করান। তাই ফল ভাল হয়।” তাঁর অভিযোগ, “জঙ্গলমহল ও মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা-সহ তৃণমূল প্রভাবিত এলাকার কথা মাথায় রেখেই মেধা তালিকা তৈরি করা হয়েছে। কোনও পড়ুয়ার সাফল্যকেই ছোট করছি না। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মেধা তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে কি না, তা সবারই খতিয়ে দেখা দরকার।” তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক অসীম ঘোষ বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজনৈতিক সুবিধা পেতে মোহিতবাবুদের শিক্ষা নিয়ে নোংরা রাজনীতি দুঃখজনক।”
|
|
|
|
|
|