|
|
|
|
পুরসভা-পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ, সন্দেহ |
বিধি ভেঙে পার্কিং ফি আদায় বর্ধমান রোডে
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
পুরসভা, পুলিশ-প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই শহরের জমজমাট রাস্তায় গাড়ি-হাই রেখে চড়া হারে ‘পার্কিং’ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিলিগুড়ির বর্ধমান রোডে রেল পুলিশ সুপারের অফিস লাগোয়া বর্ধমান রোডের একটি মেলা প্রাঙ্গণের সামনে ওই ঘটনা ঘটছে। সোমবার ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের তরফে পুলিশ কমিশনারেট, পুরসভা ও জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ পৌঁছয়। অনেকের অভিযোগ, পুরসভা, পুলিশের একাংশের উদাসীনতায় বেআইনি পার্কিংয়ের জেরে এলাকায় তীব্র যানজটও হচ্ছে। তাই বাসিন্দাদের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তো বটেই, নানা সন্দেহ দানা বাঁধছে।
অভিযোগ, মেলার মাঠের সামনে বর্ধমান রোডের ধারে রোজই প্রচুর গাড়ি-বাইক ‘পার্কিং’ করা হচ্ছে। সে জন্য বাইক পিছু ১০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। গোটা শহরে যেখানে বাইক রাখার জন্য দিতে হয় ২ টাকা। সেখানে বেআইনি পার্কিংয়ের জায়গায় পাঁচ গুণ বেশি হারে টাকা আদায় করা হলেও পুরসভা, পুলিশ-প্রশাসন কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও যাঁরা পার্কিং আদায় করছেন, তাঁদের একাংশের দাবি, নানা বাধ্যবাধকতার জন্য তাঁরা পাঁচ গুণ বেশি হারে টাকা নিতে বাধ্য হচ্ছেন। |
|
বর্ধমান রোডের এখানেই বেআইনি পার্কিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। —নিজস্ব চিত্র। |
অভিযোগ পৌঁছেছে পুরসভার মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তের কাছেও। তিনি বলেন, “বর্ধমান রোডে যেখানে মেলা হচ্ছে তার সামনে রাস্তায় পার্কিং লটের বরাত দেওয়া হয়নি। টাকা তোলা হলে তা বেআইনি। অফিসারদের খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (ট্রাফিক) জয়ন্ত পালের কাছেও অভিযোগ গিয়েছে। ডিসি (ট্রাফিক) অভিযোগ পেয়ে অফিসারদের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
কিন্তু, মেলা স্থল থেকে শিলিগুড়ির ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম দেখা যায়। বর্ধমান রোডের ওই এলাকায় রাস্তার এক ধার জুড়ে সারি সারি বাইক গাড়ি, রাখার ফলে রোজই যানজট হচ্ছে। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি রুটের নিত্যযাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের অফিসারদের জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। নিত্য যাতায়াতকারীদের একাংশের অভিযোগ, প্রতিবাদ করলে পার্কিং আদায়কারীদের একাংশ, ‘একজন পুরকর্তা ও পুলিশ-প্রশাসনের একাংশকে জানিয়েই সব হচ্ছে’ বলে দাবি করছেন বলেও অভিযোগ।
এলাকার কংগ্রেস কাউন্সিলর কাজল চন্দ বলেন, “যত দূর জানি ওই এলাকায় একজনকে পার্কিংয়ের বরাত দেওয়া হয়েছে শুনেছি। ১০ টাকা করে নেওয়া হলে তা অবশ্যই বেআইনি। বিশদে খোঁজ নিচ্ছি।” পুরসভার আরেক কংগ্রেস কাউন্সিলর তথা পার্কিং বিভাগের মেয়র পারিষদ শিখা রায় কিন্তু অন্য কথা বলছেন। শিখা দেবী বলেন, “বর্ধমান রোডে মেলার সামনে পুরসভার কোনও পার্কিং লট নেই। কাউকে বরাত দেওয়া হয়নি। বিনা অনুমতিতে কে, কারা চড়া হারে টাকা তুলে নিচ্ছে তা দেখা হবে।”
মেলা কমিটির অন্যতম পরিচালক নরেশ সাহা অবশ্য বলেন, “যাঁরা পার্কিং আদায় করছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছি। যত দূর শুনলাম পুরসভা, পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েই টাকা নেওয়া হচ্ছে।” কিন্তু, পুরসভা, পুলিশ তো কোনও অনুমতি নেয়নি বলে জানিয়ে দিচ্ছে। এর পরেও পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে কেন? জবাবে নরেশবাবু বলেন, “আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।” |
|
|
|
|
|