|
|
|
|
জঙ্গলমহলের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক এসপি-র |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ক’দিন আগে ছত্তীসগঢ়ে মাওবাদী হামলা হয়েছে। এ রাজ্যের জঙ্গলমহলের নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। সামনে আবার পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই অবস্থায় জঙ্গলমহলের নিরাপত্তা নিয়ে এতটুকু ঝুঁকি নিতে নারাজ পুলিশও। কোনও সূত্র মারফত খবর এলেই হচ্ছে তল্লাশি। গভীর জঙ্গলে ঢুকে পড়ছে যৌথ বাহিনী। রবিবার ভোরে এমনই অভিযান হয়েছে গোয়ালতোড়ের ভালুকবাসার জঙ্গলে। তবে তল্লাশি শেষে কিছুই মেলেনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরীর কৌশলী বক্তব্য, “জঙ্গল এলাকায় তল্লাশি অভিযান চলেই। নির্দিষ্ট সূত্র মারফত কোনও খবর এলে তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হয়। নতুন করে এলাকায় মাওবাদীদের গতিবিধি বাড়ছে, এমন কোনও খবর নেই। তবে সব দিকেই নজর রাখা হচ্ছে।”
পুলিশ সূত্রে খবর, খবর এসেছিল পাঁচ-ছ’জন অচেনা যুবক ভালুকবাসা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে। ওই যুবকেরা মাওবাদী স্কোয়াডের সঙ্গে যুক্ত। এরপরই সব দিক খতিয়ে দেখে ভালুকবাসার জঙ্গলে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয়। সোমবারই মেদিনীপুরে এসেছিলেন ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার ভারতী ঘোষ। সুনীল চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বৈঠকও হয়। আলোচনা হয় জঙ্গলমহলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে। প্রাসঙ্গিক ভাবে উঠে আসে পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গও।
জানা গিয়েছে, ছত্তীসগঢ়ের ঘটনার পর জঙ্গলমহলের কিছু এলাকায় বাড়তি নজরদারি শুরু হয়েছে। যৌথ বাহিনীই নজরদারি চালাচ্ছে। তালিকায় নাম রয়েছে মেটালা, ঝিটকা, করমাশোল, লক্ষ্মণপুর এলাকার। গত ক’মাস ধরেই মাওবাদীদের গতিবিধি নিয়ে জেলা পুলিশের কাছে বিভিন্ন সূত্র মারফত নানা খবর আসছে। আসছে গোয়েন্দা সতর্কবার্তাও। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের এক কর্তার কথায়, “এখন আমাদের আর বেশি ইনফরমার রাখার প্রয়োজন হচ্ছে না। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে স্থানীয় মানুষই ইনফরমারের কাজ করছেন। সন্দেহজনক কিছু মনে হলেই আমাদের জানাচ্ছেন। আমাদেরও কাজের সুবিধে হয়েছে।” |
|
|
|
|
|