|
|
|
|
পুলিশের শাস্তি চেয়ে পোস্টার দিল তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
আদালতের নির্দেশ মেনে বাম পরিচালিত হলদিয়া পুরসভার উন্নয়ন বৈঠক নির্বিঘ্ন করতে গিয়ে রাজ্যে শাসকদল তৃণমূলের রোষানলে পড়ল পুলিশ। গত শুক্রবারের ওই বৈঠকের জন্য পুলিশি বন্দোবস্ত ঘিরে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। দলের এক মহিলা নেত্রীর শ্লীলতাহানি ও সমর্থকদের উপর লাঠি চালানোর অভিযোগ জানিয়ে সোমবার হলদিয়া জুড়ে পোস্টার দেয় তারা। পোস্টারে সরাসরি অতিরিক্ত এসপি অমিতাভ মাইতি ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক চন্দন ঘোষের শাস্তির দাবি জানিয়েছে তৃণমূল।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা দেবপ্রসাদ মণ্ডল বলেন, “যে ভাবে বাম জমানায় তৃণমূলের উপরে অত্যাচার চলত, এখনও তাই হচ্ছে। পুরপ্রধান তমালিকা পণ্ডা শেঠের থেকে টাকা নিয়ে অমিতাভ মাইতি ও চন্দন ঘোষ এই কাণ্ড করছে।” কিন্তু এখন তো তৃণমূলই রাজ্যে ক্ষমতায়! দেবপ্রসাদবাবু বলেন, “পুলিশের মানসিকতার কোনও পরিবর্তন হয়নি।” স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী অবশ্য বলেন, “হলদিয়ার ওই ঘটনার কথা জানি না।” তমালিকাদেবীর বক্তব্য, “আদালতের নির্দেশে পুলিশ তার কাজ করছিল। ওদের এ সব কথার কোনও জবাব দেব না আমি।”
গত বছর জুনে পুর-নির্বাচনে বামেদের বোর্ড দখলের পর থেকেই অশান্তি চলছে হলদিয়া পুরসভায়। প্রথম থেকেই উন্নয়ন বৈঠকে যোগ দিচ্ছিল না তৃণমূল। মিছিল-জমায়েত, ভাঙচুরবিরোধিতার বাকি ছিল না কিছু। অবশেষে উন্নয়ন-বৈঠক নির্বিঘ্ন করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন পুর-কর্তৃপক্ষ। আদালত জেলা পুলিশকে বৈঠকের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়। গত শুক্রবার পুর-বোর্ডের সপ্তম উন্নয়নমূলক বৈঠকে সেই নিরাপত্তার আয়োজন করতে গিয়েই পুলিশের সঙ্গে গণ্ডগোল বাধে তৃণমূল কর্মীদের। বৈঠকের আগে বাম কাউন্সিলররা ক্ষুদিরামনগরে সিপিএমের জোনাল কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা ওই কার্যালয়ে রয়েছে অভিযোগ তুলে তৃণমূল বাইরে ঘেরাও-বিক্ষোভ শুরু করলে আটকে পড়েন তাঁরা। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করতে গেলে জোনাল কার্যালয়ের সামনেই হাতাহাতি বেধে যায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে। তৃণমূলের অভিযোগ, জোনাল কার্যালয় থেকে দুষ্কৃতীদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করার জন্য তাদের দলীয় সমর্থকদের উপরে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ। আজ, মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও করে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে শাসকদলের। এএসপি বলেন, “আদালতের নির্দেশে বোর্ড মিটিং সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব ছিল। শ্লীলতাহানি বা লাঠি চালানোর অভিযোগ মানছি না।” |
|
|
|
|
|