সত্তরের বিশ্বকাপে পেলের হেড থেকে গর্ডন ব্যাঙ্কসের সেই ঐতিহাসিক সেভ!
২০০২ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে রোনাল্ডিনহোর সেই অবিশ্বাস্য ফ্রি-কিক!
অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপহার দিয়েছে ব্রাজিল-ইংল্যান্ড ম্যাচ। বিশ্বকাপ হোক, বা আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি লড়াইয়ের মান সব সময় থেকেছে হাড্ডাহাড্ডি। রবিবার রাতে ব্রাজিল-ইংল্যান্ড ২-২ ড্রয়ের মধ্যেও থাকল কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত।
নিরাপত্তার কারণে মারাকানা স্টেডিয়ামের দর্শক সংখ্যা এক লাখ কমিয়ে ৭৮ হাজারে নামিয়ে আনা হলেও নতুন সাজে সজ্জিত রিও-র স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচে বিন্দুমাত্র আবেগের অভাব ছিল না। অসংখ্য হলুদ-সবুজ পতাকা, রঙিন ব্যানার নিয়ে শুধু এ মাসেই আসন্ন কনফেডারেশন কাপ নয়, এক বছর পরে নিজেদের দেশে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের আমেজকেই যেন গত রাতে তুমুল স্বাগত জানালেন ব্রাজিল সমর্থকেরা। যে মাঠে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে লেখা হবে চ্যাম্পিয়নের নাম, সেই মাঠই উপভোগ করল লাতিন আমেরিকা বনাম ইউরোপীয় ঘরানার লড়াই। পজেশনাল ফুটবল বনাম কাউন্টার অ্যাটাকের লড়াই। নেইমার বনাম রুনি লড়াই। |
ল্যাম্পার্ড-ক্যারিককে মাঝমাঠে রেখে রুনিকে দিয়ে আক্রমণ সাজান রয় হজসন। জবাবে তরুণ তারকা নেইমার, অস্কার, ফ্রেডকে নিয়ে প্রথম দল গড়েছিলেন লুই স্কোলারি। প্রথমার্ধে দু’দলই অনেক সুযোগ তৈরি করলেও গোল হয়নি। নেইমারের স্কিলের ঝলক দু’-এক বার দেখা গেলেও ইংল্যান্ডের গোলের মুখ খুলতে পারেননি বার্সেলোনা-মুখী ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার।
কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ফ্রেডের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। যদিও সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। পরিবর্ত হিসাবে নেমেই ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স চেম্বারলেন ১-১ করে ফেলায়। ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে রুনির দুর্দান্ত গোলে চুরাশির পর ব্রাজিলের মাটিতে প্রথম জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল ইংল্যান্ড। তবে পাওলিনহো ২-২ সমতা ফেরানোয় ব্রাজিলকে শেষমেশ হারতে হয়নি॥
অন্য দিকে, মার্কিন সকার-এর শতবর্ষপূর্তি উদযাপনের অঙ্গ হিসাবে রবিবার রাতে ওয়াশিংটনে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ৪-৩ গোলে জার্মানিকে হারিয়েছে। রবার্ট কেনেডি স্টেডিয়ামে সোয়াইনস্টাইগার, মুলার, গোটজে-সহ জার্মানির প্রথম দলের বেশির ভাগ তারকাই না খেলার সুযোগ নিয়ে মার্কিন দল গোড়াতেই দু’গোলে এগিয়ে যায়। জোড়া গোল করে ম্যাচের নায়ক প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যামে খেলা ফরোয়ার্ড ক্লিন্ট ডেম্পসি। জার্মানি দলে অবশ্য পোডোলস্কি, ক্লোজের মতো ফরোয়ার্ড থাকলেও দু’জনের কেউই গোল পাননি। |