আইপিএল নিয়ে মহানাটকে এ বার পরোক্ষ ভাবে জড়িয়ে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্সের নামও। মুম্বই পুলিশ সূত্রের খবর, জেরার মুখে বিন্দু দারা সিংহ নাকি কেকেআরের টিমের খবরাখবর বের করার জন্য টিম সিইও বেঙ্কি মাইসোরকে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন।
পুলিশ সূত্রটির কথায়, বিন্দুকে চিনতেন কেকেআর সিইও। কিন্তু বলা হচ্ছে, সেখানে চেষ্টা করেও বিশেষ লাভ সেখানে হয়নি। বেঙ্কি মাইসোরের থেকে কতটা তথ্য বিন্দু বের করতে পেরেছিলেন, তা নিয়ে পুলিশের সন্দেহ আছে। পাশাপাশি সিএসকে টিমের মালিক গুরুনাথ মায়াপ্পন এবং অভিনেতা বিন্দু দারা সিংহকে ১৪ জুন পর্যন্ত আইনি হেফাজতে রাখার সিদ্ধান্ত হল এ দিন।
আর সপ্তাহখানেক ধরে তিহাড় জেলে দিন কাটাচ্ছেন যে অভিযুক্ত ক্রিকেটার, সেই শ্রীসন্ত আবার জেলের সাধারণ পানীয় জল খাচ্ছেন না। আর পাঁচ জন কয়েদিদের যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, সেটাও খেতে চাইছেন না কেরলের পেসার। জেলকর্মীদের বক্তব্য, শ্রীসন্ত সব সময়ই বিষাদগ্রস্ত ভাবে থাকছেন। তাঁরা আরও জানান, সাধারণ জলের বদলে মিনারেল ওয়াটার চেয়ে পাঠান শ্রীসন্ত। জেলের ক্যান্টিন থেকে খাবার এনে দেওয়ার অনুরোধও করেছেন তিনি। “সারা দিনই টিভি-তে নিউজ চ্যানেল দেখে যায় শ্রীসন্ত। আইপিএল নিয়ে কোনও খবর থাকলে সেটা মন দিয়ে দেখে,” বলছেন এক জেলকর্মী।
শ্রীসন্তের আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি রাজস্থান রয়্যালসের অন্যতম মালকিন শিল্পা শেঠি স্বভাবতই এখনও তাঁর টিম ঘিরে কেলেঙ্কারির রেশ কাটিয়ে উঠতে পারেননি। দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “আমরা সবাই খুব ভেঙে পড়েছি। দলটাকে একটা পরিবারের মতো দেখি আমরা, তাই আরও খারাপ লাগছে।”
সোমবার আবার স্পট-ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে এ বার দিল্লি পুলিশ তলব করল প্রাক্তন বোর্ড সচিব সঞ্জয় জাগদালেকে। না, তাঁর বিরুদ্ধে গড়াপেটা বা বেটিংয়ের অভিযোগ ওঠেনি। যে টুর্নামেন্ট ঘিরে এত বিতর্ক, সেই আইপিএলের বাণিজ্যিক কাজকর্ম বিশ্লেষণ করার জন্য তাঁর ডাক পড়েছে পুলিশের কাছে। “ওঁকে জেরার জন্য ডাকা হয়নি। জাগদালের কাছে আমরা কয়েকটা জিনিস বুঝতে চাই,” এ দিন বলেছেন পুলিশের এক সিনিয়র কর্তা। জাগদালের পাশাপাশি পুলিশ ডেকে পাঠায় আইপিএল সিইও সুন্দর রামন-কেও। |