টিভির পর্দায় যখন নামটা ভেসে উঠেছে কোনও গুরুত্বই দেয়নি উচ্চমাধ্যমিকে যুগ্মভাবে ষষ্ঠ স্থানাধিকারী শুভময় চক্রবর্তী। তবে পর্দায় স্কুলের নামটা ভেসে ওঠার পরেই নিশ্চিত হয় সে। জড়িয়ে ধরে বন্ধুদের। তার পরেই ছুট্টে গিয়ে ফোন করে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে, মায়ের কাছে। তার পর অবশ্য তাকে আর কোথাও ফোন করতে হয়নি। উল্টে তার কাছেই বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিনন্দন বার্তা এসেছে। ঠিক যেমন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তার বাড়িতেই অভিনন্দন বয়ে নিয়ে এসেছেন আসানসোলের মহকুমা শাসক অমিতাভ দাস।
|
এ বার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৬৭। আসানসোলের ধাদকা এনসি লাহিড়ী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র সে। দু’বছর আগে মাধ্যমিক পরীক্ষায় সে সম্ভাব্য সপ্তম হয়েছিল। তার তুলনায় উচ্চমাধ্যমিকে ফল ভাল হওয়ায় খুশি শুভময় ও তার পরিবারের সদস্যেরা। আসানসোলে তার পিসি বীণা চট্টোপাধ্যায় ও পিসেমশাই বিজয় চট্টোপাধ্যায়ের কাছে থেকে পড়াশোনা করেছে সে। মাত্র দেড় বছর বয়স থেকে এখানেই থাকে সে। তার বাবা, পেশায় ব্যবসায়ী সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, ইচ্ছা ছিল ছেলেকে রামকৃষ্ণ মিশনে পড়াবেন। তাই আসানসোলে তাঁর দিদির কাছে ছেলেকে পাঠিয়ে দেন।
তবে অন্যদের মতো সারাদিন ধরে পড়াশোনা করেনি সে। দিনে সাত ঘণ্টা পড়াশোনা করত সে। চার জন গৃহশিক্ষক ছিলেন তার। পড়াশোনার বাইরে তার প্রথম পছন্দ বন্ধুদের সঙ্গে গল্পে মশগুল থাকা। ফুটবল দেখতেও বেশ লাগে তার। তবে পড়াশোনার চাপে গত দু’বছর মাঠমখো হয়নি সে। গোয়েন্দাগল্পও তার খুব প্রিয়। সত্যজিত্ রায়ের ফেলুদা থেকে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কাকাবাবু, সবই ইতিমধ্যে পড়া হয়ে গিয়েছে তার।
তবে ভবিষ্যতে কী হতে চায়, তা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যথা নেই তার। এই বছর জয়েন্ট দিয়েছে। ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়রিং যা পাবে সেটাই পড়বে বলে জানিয়েছে সে। তবে যদি দুটোই পায়, তার প্রথম পছন্দ ইঞ্জিনিয়রিং। তবে যা-ই পড়ুক না কেন, পরে গবেষণাতেই যেতে চায় বলে জানিয়েছে সে। |