পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার হিড়িক লেগেছে হাবরা-১ ব্লকে। কংগ্রেসের দাবি, শনিবার কুমড়ো গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রেখা মল্লিক প্রায় ২০০ কর্মী-সমর্থককে নিয়ে তাদের দলে যোগ দেন। রবিবার যোগ দেন বেড়গুম-২ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য রীতিকা তালুকদার। মছলন্দপুর-২ পঞ্চায়েতের গোয়ালবাটি এলাকা থেকেও বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
রেখাদেবী এবং রীতিকাদেবী দু’জনকেই পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করা হবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। কিন্তু তাঁরা তৃণমূল ছাড়লেন কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে রেখাদেবী দলের আচরণ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচন করার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দলের পক্ষ থেকে বলা হল, গত পাঁচ বছরে পঞ্চায়েতের কাজ করলেও দলের কাজ করিনি। আমার সঙ্গে অনৈতিক আচরণ করা শুরু হল। তাই দল ছাড়লাম।” রীতিকাদেবী অবশ্য এ নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ মনে করছেন, পঞ্চায়েত ভোটে দলের টিকিট না পেয়ে সেই লোভেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন ওই দু’জন। জেলা তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য দাবি করেছেন, “নির্বাচনে এর কোনও প্রভাব পড়বে না।” ওই ব্লকের সাতটি পঞ্চায়েতের মধ্যে কুমড়োই একমাত্র কংগ্রেসের দখলে। বাকি পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে কংগ্রেসের তেমন প্রভাব নেই। এ ভাবে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তাঁদের দলে যোগ দেওয়ায় উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সমাদ্দার বলেন, “রেখাদেবী ও রীতিকাদেবী দু’জনকেই আমরা পঞ্চায়েতে টিকিট দিচ্ছি। ওই সব এলাকায় আমাদের পতাকা ধরার কর্মীও ছিল না। এ বার জেতার চেষ্টা করব।” |