মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ২৪ ঘন্টা আগেই ‘এলাকা দখল’কে কেন্দ্র করে সিপিএম-কংগ্রেসের সংঘর্ষে লালবাগে জখম হলেন ৫ জন। শনিবার রাতে মুর্শিদাবাদের কাপাসডাঙা পঞ্চায়েতের শিবনগর এলাকায় কংগ্রেস এবং সিপিএমের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। দু’পক্ষই গুলি চালায়। গুলিবদ্ধ হন সিপিএমের দুজন এবং কংগ্রেসের তিন জন। কংগ্রেস কর্মী সাজ্জাদ আলির চোখে গুলি লাগে। তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। পরে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৪ জনের মধ্যে তিন জন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং এক জন লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ, মুর্শিদাবাদ) মৃণাল মজুমদার বলেন, “গ্রামের একটি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বাধে। ওই বিবাদের জেরে গ্রামে গুলি চলে। ওই ঘটনায় তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির সম্পর্ক নেই বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। তদন্ত চলছে।” এলাকায় পুলিশের টহল রয়েছে।
যদিও সিপিএম এবং কংগ্রেস উভয়েই পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাস সৃষ্টি করে এলাকা দখল করার অভিযোগ এনেছে একে অপরের বিরুদ্ধে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা দখলের জন্য কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পিত ভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায়।” কাপসডাঙা পঞ্চায়েত প্রধান কংগ্রেসের অপর্ণা মণ্ডল পাল্টা বলেন, “ভোটের আগে সিপিএম আমাদের নেতা-কর্মীদের খুনের চক্রান্ত করে। পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস ওই ভাল ফল করবে বলেই আতঙ্কিত সিপিএম খুন-সন্ত্রাসের রাজনীতি করতে চাইছে।”
ওই রাতের ঘটনায় সিপিএমের যে দুজন গুলিবিদ্ধ হন, তাঁদের মধ্যে সিপিএম সমর্থক রুয়াজ আলি ছাড়াও রয়েছেন কাপাসডাঙা লোকাল কমিটির সদস্য আইনাল আলি। তিনি আবার পঞ্চায়েত সদস্যও। কংগ্রেসের তিন জন হলেনসাজ্জাদ আলি ও তাঁর ছেলে বাবর আলি। এছাড়াও ডালিম শেখ গুলিবিদ্ধ হন।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে কাপাসডাঙা পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস ও জনবাদী ফরওয়ার্ড ব্লক জোট ৮টি আসনে এবং বামফ্রন্ট ৬টি আসনে জয়ী হয়। এবারের নির্বাচনে ওই পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ১৪ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮টি। |