|
|
|
|
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ |
প্রার্থী তালিকায় নাম নেই সভাধিপতি, কর্মাধ্যক্ষদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদটি তফসিলি মহিলা হিসাবে সংরক্ষিত হওয়ায় এই পদে ফের তাঁর ফিরে আসার সম্ভাবনা শেষ হয়েছিল আগেই। তবে শেষমেষ প্রার্থী তালিকা থেকেই বাদ পড়লেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি গান্ধী হাজরা। তা ছাড়াও নাম নেই জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দেবব্রত মণ্ডল, স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ রফিকুল হাসান, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ মিঠু অধিকারী ও কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিমলকৃষ্ণ নন্দীর। এ ছাড়াও বাদ পড়েছেন নন্দীগ্রাম ১ ব্লক থেকে গতবারের জয়ী জেলা পরিষদের সদস্য পীযূষ ভুঁইঞা এবং নন্দীগ্রাম ২ ব্লক থেকে সিপিএমের প্রার্থী হিসাবে জিতেও পরে তৃণমূলে যোগ দেওয়া ননীগোপাল কয়াল। |
|
ভোটের হাওয়া। দাসপুরের নাড়াজোলে দেওয়াল লিখন।—নিজস্ব চিত্র। |
কেন এমন সিদ্ধান্ত?
দলের একটি সূত্রে খবর, এ বার নির্বাচনে জিতলেও সভাধিপতি হওয়ার সুযোগ নেই বলে গান্ধী হাজরা নিজেই ভোটে প্রার্থী হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। আর পটাশপুর থেকে জেতা জেলা পরিষদের অন্যতম প্রবীণ সদস্য তথা কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিমলবাবুকে এ বার বয়স ও অসুস্থতার জন্য প্রার্থী করা হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। বাকি তিন কর্মাধ্যক্ষ রামনগরের দেবব্রত মণ্ডল, সুতাহাটার রফিকুল হাসান ও তমলুক ব্লকের মিঠু অধিকারী মহিলা ও তফসিলি সংরক্ষণের জেরে বাদ পড়ছেন বলে জানানো হয়েছে। এর জেরে সভাধিপতি-সহ জেলা পরিষদের দশ কর্মাধ্যক্ষের অর্ধেকই এ বার প্রার্থী তালিকায় নেই। তৃণমূল সূত্রে আসন সংরক্ষণের কথা জানানো হলেও রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন নতুন মুখকে প্রার্থী করতে চাইছে তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক মামুদ হোসেন বলেন, “আসন সংরক্ষণের জন্যই সভাধিপতি এ বার প্রার্থী হতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন। একই কারণে জেলা পরিষদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য কর্মাধ্যক্ষকে এ বার প্রার্থী করা যায়নি। আর কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিমলবাবু শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রার্থী হচ্ছেন না।” জানা গিয়েছে, নিজেদের আসন থেকে বাদ পড়ার সম্ভাবনায় জেলা পরিষদের কয়েকজন কর্মাধ্যক্ষ ও সদস্য কাছাকাছি এলাকার কোনও আসনে প্রার্থী হওয়ার জন্য দলীয় নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছিলেন। কিন্তু জেলা পরিষদের পাঁচ বছরের কাজের মূল্যায়ণে তাঁদের ভূমিকায় একাধিকবার দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে বলে খবর। এর জেরেই জেলা পরিষদের আসন এ বার ৫৩ থেকে বেড়ে ৬০ হলেও তাঁদের প্রার্থী করা হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে।
২০০৭-এ নন্দীগ্রামে জমিরক্ষা আন্দোলনের জেরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা-সহ গোটা রাজ্যেই তৃণমূলের পক্ষে জনসমর্থন বাড়ছিল। এর জেরেই ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বামেদের হারিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদ-সহ জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে জয়ী তৃণমূল। এমনকি একদা সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি খেজুরি থেকে জিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতি হন রঞ্জিত মণ্ডল। তিনি বর্তমানে খেজুরির বিধায়ক। এই জয়ের ধারা অব্যাহত থাকে ২০০৯-এর লোকসভা ও ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও। ক্রমশ সব স্তরেই বিরোধী থেকে গত পাঁচ বছরে শাসক হয় তৃণমূল। তাই বাড়তি দায়িত্ব থেকে প্রার্থী নির্বাচনে সতর্ক হতে হচ্ছে বলে জানান দলের একাংশই। তাঁদের মতে, নন্দীগ্রাম, খেজুরির মতো এলাকায় বামেরা কোণঠাসা হলেও পাঁশকুড়া ১, ২, শহিদ মাতঙ্গিনী, তমলুক, ময়না, হলদিয়া, চণ্ডীপুর, কাঁথি ৩ ব্লকে গত দু’বছরে বামেদের সাংগঠনিক উন্নতি হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এ বারের নির্বাচনে এই সব এলাকায় বাম-তৃণমূল জোরদার লড়াই হবে। |
পুরনো খবর: পশ্চিমের প্রার্থী তালিকায় নাম নেই চার কর্মাধ্যক্ষের |
|
|
|
|
|