|
|
|
|
যুবতীর রহস্য-মৃত্যু, মন্ত্রীর হুকুমে তদন্ত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি ও নয়াদিল্লি |
মণিপুরের এক যুবতীর দিল্লিতে রহস্য-মৃত্যুর জেরে বিতর্ক ছড়াল। তাঁর পরিচিতরা অভিযোগ তুলেছিলেন, নিছক আত্মহত্যার ঘটনা বলে তদন্তের দায় এড়াতে চাইছে দিল্লি পুলিশ। এফআইআর-ও নিতে চাইছে না তাঁরা। প্রতিবাদে গতকাল মালব্যনগর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরিস্থিতি সামলাতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির স্বাস্থ্য, নারী ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী কিরণ ওয়ালিয়া। শেষমেশ তাঁর নির্দেশে, দিল্লির ‘ক্রাইম ব্রাঞ্চ’কে ওই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব দেন রাজধানীর পুলিশ কমিশনার।
পুলিশ জানায়, ২৯ মে দিল্লির চিরাগদিল এলাকার একটি ফ্ল্যাটে রেইংগামফি আউংসি (২১) নামে টাংখুল উপজাতির এক যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি মণিপুরের উখরুল জেলায়। কাজের সন্ধানে দিল্লিতে ছিলেন ওই যুবতী। মৃতার পরিবারের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, ৩১ মে রাত পর্যন্ত এ বিষয়ে এফআইআর নিতে অস্বীকার করেছে দিল্লি পুলিশ। তারই প্রতিবাদে মালব্যনগর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান রেইংগামফির পরিবার এবং একটি নাগা সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখার (ক্রাইম ব্রাঞ্চ) এসিপি এস এস গিল সাংবাদিকদের বলেন, “উত্তর-পূর্বের সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে তদন্তকারী দল ফের ঘটনাস্থল পরীক্ষা করেছে। ফ্ল্যাটটি সিল করা হয়েছে। এফআইআর-এ প্রয়োজনমতো ধারা যোগ করা হবে।” পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ফ্ল্যাটের বাড়িওয়ালা বা তাঁর পরিবারের ভূমিকাও দেখা হচ্ছে। রেইংগামফির আত্মীয় চিরামায়োর আশঙ্কা, ওই যুবতীকে খুন করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনার পর স্বাস্থ্যমন্ত্রী কিরণদেবী জানান, এফআইআর নিতে অস্বীকার করা হলে, তা ঠিক হয়নি। তিনি বলেন, ‘‘মৃতদেহের ছবি দেখে যৌন নির্যাতন বা হত্যার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কেন্দ্র নারীদের উপরে কোনও রকম নির্যাতন সহ্য করবে না। ঘটনার পিছনে সত্য খুঁজে বের করা হবে।” যুবতীর পরিজনদের অনুরোধে তিনি অন্য হাসপাতালে ফের রেইংগামফির দেহের ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন। |
|
|
|
|
|