|
|
|
|
মন্ত্রীদের নাম জাল করে রেল টিকিট |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের লেটারহেড জাল করে ‘ওয়েটিং লিস্টের’ টিকিট ‘কনফার্ম’ করানোর অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু ট্র্যাভেল এজেন্টের বিরুদ্ধে। রবিবার দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই প্রতারণা এবং জালিয়াতির মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি প্রথম তাদের নজরে আনে উত্তর রেলের ভিজিল্যান্স শাখা। অন্তত সাতটি চিঠির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছিল ভিজিল্যান্স শাখায়। সেগুলি দিল্লি পুলিশের কাছে পেশ করা হলে শুরু হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা। পরে জানা যায়, এর মধ্যে অন্তত পাঁচটি ভুয়ো। পুলিশ জানিয়েছে, তিনটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ও ভূবিজ্ঞানমন্ত্রী এস জয়পাল রেড্ডি, বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মা, বিমান প্রতিমন্ত্রী কে সি বেণুগোপালের নাম ব্যবহার করে পাকা টিকিট জোগাড় করেন ট্র্যাভেল এজেন্টরা। এ ছাড়া, দু’টি ক্ষেত্রে, বসপা-র সাংসদ আম্বেৎ রাজনের নাম জাল করে ব্যবহার করা হয়েছিল। বাকি দু’টি অবশ্য আসল ছিল বলেই জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।
কী করে হদিস মিলল এই জালিয়াতির? তদন্তে ভিজিল্যান্স শাখা জেনেছে, এই ধরনের চিঠি সাধারণত জয়পাল রেড্ডি নিজে সই করেন না। বরং সেখানে সই থাকে তাঁর ব্যক্তিগত সচিব অথবা অতিরিক্ত ব্যক্তিগত সচিবের। কিন্তু রেলের কাছে যে চিঠিটি জমা পড়েছিল তাতে সই ছিল জয়পালের নিজের। আর তাতেই জাগে সন্দেহ। অন্য দিকে আনন্দ শর্মার ব্যক্তিগত কর্মচারীরাও পুলিশকে জানিয়েছেন, এ ধরনের চিঠিতে সরাসরি সই করেন না বাণিজ্যমন্ত্রী। তাঁর সহকারী এ-ও জানিয়েছেন, ডান দিকে নয়, সব সময় বাঁ দিকেই সই করেন আনন্দ। কিন্তু চিঠিতে তা ছিল না। বেণুগোপালের নাম ভাঁড়ানো চিঠিতে আবার গরমিল ছিল তাঁর দফতর নিয়ে। বেণুগোপাল আগে ছিলেন শক্তি প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু মন্ত্রিত্ব রদবদলের পর তিনি বর্তমানে বিমান প্রতিমন্ত্রী। যদিও লেটারহেডে লেখা ছিল বেণুগোপালের আগের দফতরের নাম-ই। পরে ইলাহাবাদ স্টেশনে ওই কনফার্মড টিকিটের যাত্রীকে খুঁজে বের করেন রেল কর্তৃপক্ষ। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের এক ট্র্যাভেল এজেন্ট তাঁকে পাকা টিকিটি জোগাড় করে দিয়েছেন। তবে যেখানে টিকিটের দাম হওয়া উচিত ছিল ৪০৮ টাকা, সেখানে যাত্রীর কাছ থেকে ৯০০ টাকা নিয়েছিলেন এজেন্ট।
এর পর টিকিট বুক করার অজুহাতে ওই এজেন্সির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন ভিজিল্যান্স শাখার অফিসারেরা। সংস্থার দফতরে হাজিরও হন ওই অফিসারেরা। কিন্তু সেখানে তখন তালা ঝুলছে। তাঁরা জানান, এক জায়গা থেকে নয়, বিভিন্ন জায়গা থেকে টিকিট বুকিং-এর কাজ চালান সংস্থার একাধিক এজেন্ট। |
|
|
|
|
|