তৃণমূল সমর্থকদের হাতে এক সিপিএম প্রার্থীর আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠল ভাতারে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই প্রার্থীর নাম বাপি মাজি। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সিপিএমের ভাতার জোনাল কমিটির সদস্য তারাপদ ঘোষও মারধরে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁর অভিযোগ, “রবিবার সকালে সাহেবগঞ্জ বাজারের কাছে একটি চায়ের দোকানে বসে আমরা পঞ্চায়েতের প্রার্থীপদ নিয়ে আলোচনা করছিলাম। শনিবার বাপিবাবু ভাতার ব্লক অফিসে গিয়ে সাহেবগঞ্জ পঞ্চায়েতের জন্য মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি। তৃণমূলের লোকেরা তাঁকে হুমকি দেয়। তিনি ফের কাল মনোনয়ন জমা দেবার চেষ্টা করবেন বলে কথা বলছিলেন। সেই সময় তৃণমূলের কয়েক জন সমর্থক স্থানীয় এরুয়ার থেকে এসে আমাদের আক্রমণ করে। তাঁরা আরও কয়েকটি গ্রামে গিয়ে আমাদের পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের হুমকি দিয়েছে।”
বাপিবাবুর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে সিপিএমের তরফে। তাঁর মাথায়, বুকে, পেটেও চোট লেগেছে। |
আহত বাপি মাজি। নিজস্ব চিত্র। |
তারাপদবাবুর দাবি, পাশের একটি দোকানে গিয়ে কোনওমতে তৃণমূলের আক্রমণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচান তিনি। তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক অলোক দাস বলেন, “সর্বত্রই সিপিএম নানা মিথ্যা অভিযোগ করে চলেছে। আসলে ওদের প্রার্থী জুটছে না। তাই ওরা পঞ্চায়েতে সর্বত্র হারের কথা বুঝে নানা অজুহাত খুঁজছে, হারের জ্বালা মেটাতে।”
ভাতার থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের হাতে সিপিএমের দুই নেতা প্রহৃত হওয়ার পরে কিছু দলীয় সমর্থক সাহেবগঞ্জ গ্রামের দু’টি বাড়িতে চড়াও হয় এবং ভাঙচুরও করে। সিপিএমের তরফে তাদের দু’জন প্রহৃত হওয়ার ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, বাড়ি ভাঙচুরের ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে ঘটনার পর থেকে তৃণমূলের সমর্থকেরা গ্রামছাড়া।
রবিবারই বিজেপি প্রার্থীদের নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। জেলা বিজেপি সভাপতি দেবীপ্রসাদ মল্লিকের দাবি, আউশগ্রামের পান্ডুক গ্রামে বিজেপি প্রার্থী অশোক ঘোষের মাথায় রড দিয়ে মারা হয়েছে। তিনি বননবগ্রাম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন। অন্যদিকে, ভাতার ব্লক বিজেপি সভাপতি সঞ্জিত ঘোষ স্থানীয় খেরুয়া গ্রামে প্রার্থী বাছাই করতে গেলে তাঁকে কয়েক জন তৃণমূল সমর্থক মারধর করে। তাঁকে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব এই ঘটনাগুলির কথা অস্বীকার করেছে। |