ভিড়ে বোঝাই মেদিনীপুর লোকালের কামরা থেকে রেল লাইনে পড়ে গুরুতর চোট পেলেন দু’জন। শনিবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের টিকিয়াপাড়া ও দাশনগর স্টেশনের মাঝখানে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক কর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ভিড়ের চাপে লোহার হাতল থেকে হাত ফসকে গিয়ে রেল লাইনের ধারে পড়ে যান ওই দুই ব্যক্তি।
রেল পুলিশ জানায়, আহতদের এক জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। তাঁর নাম রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (৪৯)। বাড়ি হাওড়ার পাঁচলা থানার জুজারসাহা এলাকায়। বছর কুড়ির অন্য যুবকের পরিচয় এ দিন রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। দু’জনেই হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রেল সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে হাওড়া থেকে ৪টে ১২ মিনিটে মেদিনীপুর লোকাল ছাড়ে। যাত্রীরা প্রতিটি কামরায় বাদুড়ঝোলা হয়েছিলেন। টিকিয়াপাড়া ছেড়ে ২০০ মিটার যাওয়ার পরেই হঠাৎ মাঝখানের একটি কামরা থেকে যাত্রীদের চিৎকার শোনা যায়। গার্ড ট্রেন থামিয়ে দেন। দেখা যায়, ওই দুই ব্যক্তি রেল লাইনের পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। গার্ড তাঁর কামরা থেকে নেমে রেল লাইন ধরে হেঁটে আসেন এবং চালককে গাড়ি পিছিয়ে আনার নির্দেশ দেন। যেখানে ওই দু’জন পড়ে ছিলেন, চালক সেখানে ট্রেন এনে দাঁড় করান। গার্ড অন্য যাত্রীদের সাহায্য নিয়ে আহত দু’জনকে ট্রেনের কামরায় তোলার পরে ট্রেন সাঁতরাগাছি স্টেশনের দিকে রওনা হয়। ওই স্টেশনে ট্রেন থামলে গার্ড স্টেশন মাস্টারের কাছে মেমো জমা দেন এবং আহতদের তাঁর জিম্মায় রেখে ট্রেন ছাড়েন।
সাঁতরাগাছি রেল পুলিশ সূত্রের খবর, স্টেশনের মাস্টারের নির্দেশে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কয়েকজন কর্মী রেল পুলিশের সাহায্যে আহতদের গাড়িতে চাপিয়ে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যান।
তবে যে জায়গায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে সেখানকার কয়েক জন বাসিন্দা এ দিন দাবি করেন, ওই কামরা থেকে ভিড়ের কারণে হাত ফসকে আরও এক যুবক এ দিন পড়ে যান। কয়েক জন যাত্রী তাঁকে তাড়াতাড়ি কামরায় তুলে নেন। তাঁর অল্প চোট লাগে। রেল কর্তৃপক্ষ অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অস্বীকার করেন।
রেল পুলিশ জানায়, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অজ্ঞাতপরিচয় ওই যুবকের পরনে ছিল সাদা-কালো ডোরাকাটা টি শার্ট এবং ঘিয়ে রঙের ট্রাউজার্স। তাঁর গায়ের রং শ্যামলা। |