হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আজ, রবিবার ভোট গ্রহণ। ভোট চলবে সকাল সাতটা থেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত। রাজ্য রাজনীতি কোন পথে চালিত হবে তার দিক নির্দেশ অনেকটাই নির্ভর করছে এই উপনির্বাচনের উপর। ফলে এই নির্বাচন কৌতূহল তৈরি করেছে।
ভোট অবাধ ও শান্তিতে করতে শনিবার সকাল থেকেই বালি, উত্তর হাওড়া, শিবপুর সহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় নজরদারি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশ। এ দিন গাড়ির উপর ভিডিও ক্যামেরা লাগিয়ে হাওড়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘোরে নির্বাচন কমিশনের গাড়ি। সেই গাড়ির তোলা ছবি এ দিন দুপুরে কমিশনের অফিসে বসে দেখেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীলকুমার গুপ্ত। তিনি বলেন, “দেশের মধ্যে এই প্রথম ভোট কেন্দ্রের লাইভ ছবি সরাসরি ঘরে বসে দেখা যাচ্ছে। দিল্লিতে বসে কমিশনের আধিকারিকরাও দেখতে পাচ্ছেন।” জেলাশাসক শান্তনু বসু জানিয়েছেন, ভোটকর্মীদের হাতে ইভিএম দিয়ে বিকেলেই তাঁদের নির্দিষ্ট ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ভোটগণনা আগামী বুধবার। গণনা হবে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে। |
জেলাশাসক বলেন, “ইভিএম স্টেডিয়ামেই রাখা হবে। চার সেকশন কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ রাজ্য পুলিশ ওই স্টেডিয়ামের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।”
এ দিন বিকেলে মাইক্রো অবজারভারদের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পাঠানো নিয়ে কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। কয়েকশো মাইক্রো অবজারভার বঙ্কিম সেতু অবরোধ করেন। জীবন বীমা, ব্যাঙ্ক, সরকারি অফিস থেকে আসা মাইক্রো অবজারভার’রা অভিযোগ করেন, সকাল ১১টা থেকে তাঁদের শরৎ সদনে এনে বসিয়ে রাখা হয়েছে। খাবার, জল কিছুই দেওয়া হয়নি। রঞ্জিত কুমার নামে এক মাইক্রো অবজারভার বলেন, “অবজারভারদের ফোন করা হলে তাঁরাও কথা বলতে অরাজি।” রাতে জেলাশাসক অবশ্য জানান, সমস্যা মিটেছে। হাওড়ায় ভোট হবে সকাল সাতটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত। আজ, রবিবার সরকারি ছুটির দিন। কিন্তু রবিবার অনেক বেসরকারি অফিস বা কলকারখানা খোলা থাকে। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, কেন্দ্রের ভোটদাতারা ভোটের দিন সবেতন ছুটি পাবেন। কোনও ভোটদাতার ছুটি বা বেতন কাটা গেলে তিনি ৯৮৩০০৯০৪৩৩ এই নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন। |